শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

১০ বছরেও হয়নি নতুন খাল খনন

চট্টগ্রামে আজ পরিদর্শনে আসবে পরিবীক্ষণ টিম

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ২০১০ সালে একটি নতুন খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৪ সালের ২৪ জুন খালের জন্য ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু বরাদ্দের পর সাড়ে ১০ বছর পার হয়ে গেল। অথচ এখনো খাল খনন কাজ শেষ হয়নি। ফলে কমছে না জলাবদ্ধতা, বাড়ছে ব্যয়। এমন অবস্থায় আজ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন সেক্টরের সহকারী পরিচালক প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি পরিদর্শনে আসবেন। একই সঙ্গে নগরের উন্নয়নে চলমান আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পও পরিদর্শন করবেন। জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯৯৫ সালে প্রণীত মহাপরিকল্পনায় তিনটি নতুন খাল খননের সুপারিশ করে। এর প্রেক্ষিতে চসিক ২০১০ সালে একটি নতুন খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৪ সালে নতুন খাল খনন প্রকল্পের জন্য ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকা অনুমোদন দেয় একনেক। মেয়াদকাল ছিল ২০১৭ সালের জুন। ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর সংশোধন করে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়ায় ১ হাজার ২৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল আবারও প্রকল্প সংশোধন করে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। দুই দফা সংশোধনের পর এখন প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন। বর্তমানে প্রকল্পের ভৌতিক অগ্রগতি ৬০ শতাংশ। তবে বিলম্ব হওয়ায় ২৯৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা খরচ হবে। চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, খালটির খননকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। কাজ শেষ হলে সেখানে নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হবে।

তাতে কমবে দূষণ, খাল থাকবে দখলমুক্ত। চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন খাল খনন প্রকল্পের কাজ এখন পুরোদমে চলছে। ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। এখন চলছে খননকাজ। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। আজ পরিবীক্ষণ টিম কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে আসবেন।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বহদ্দারহাট বারইপাড়া-চাক্তাই খাল-শাহ্ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক-নগর হাউজিং সোসাইটির মাইজপাড়া-পূর্ব বাকলিয়া-বলিরহাট হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়বে খালটি। খালের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৬৫ ফুট। প্রকল্পের আওতায় খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘের দুটি সড়ক ও ৬ ফুট প্রস্থের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। সাড়ে ৫ হাজার মিটার রিটেইনিং ওয়াল, ৯টি আরসিসি ব্রিজ, ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮১ ঘন মিটার মাটি উত্তোলন এবং সাড়ে ৫ হাজার মিটার ড্রেন নির্মাণ করার কথা।

সর্বশেষ খবর