শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে বিএনপি সক্রিয় পেশাজীবীদের নিয়ে

৫০ দিন পর খুলল দলীয় কার্যালয়ের তালা

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে প্রায় ৫০ দিন পর নেতা-কর্মীদের দেখা পেয়েছে বিএনপির দলীয় কার্যালয়। গত ২৪ অক্টোবর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তালা ছিল বিএনপি কার্যালয়ে। প্রায় ৫০ দিন পর নেতা-কর্মীদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে নগরীর কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনের কার্যালয়টি। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের পর আজ বিজয় দিবসে বিজয় র‌্যালির মাধ্যমে শোডাউন করবে বিএনপি। ইতোমধ্যে নেতা-কর্মীদের সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রতি বছর বিজয় দিবসে আমরা যে আয়োজন করি এ বছরও তা হবে। প্রতি বছর পার্টি অফিস থেকে বিজয় র‌্যালি নিয়ে শহীদ মিনার যাই, এ বছরও তা-ই করা হবে। বিজয় র‌্যালিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান থাকবেন। এতে সব নেতা-কর্মী অংশ নেবেন। জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতি সভা করেছিল নগর বিএনপি। এরপর ২৮ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশ ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এক প্রকার জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয়। গ্রেফতার আতঙ্কে কোনো নেতা-কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে দেখা যায়নি। অবশেষে নীরবতা ভেঙে গত ১৪ ডিসেম্বর কার্যালয় মাঠে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে নীরবতা ভেঙে সক্রিয় হয়েছে দলটি। আজ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালির আয়োজন করেছে দলটি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান র‌্যালির নেতৃত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে নেতা-কর্মীদের মাঝে এখনো গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপরদিকে বিজয় র‌্যালিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক উপস্থিতির মাধ্যমে বড় ধরনের শোডাউন করতে চায় বিএনপি। যার কারণে ইতোমধ্যে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নগর বিএনপি নেতা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, গ্রেফতার আতঙ্ক নেতা-কর্মীদের মাঝে এখন আর নেই। এখন নেতা-কর্মীরা মামলা-হামলাকে ভয় পায় না। দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার জন্য এবং দলের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছে। ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এ আন্দোলনে জনগণের বিজয় হবে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপিপন্থি পেশাজীবীরা। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দেখা না গেলেও সাবেক বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার দেখা মিলেছে। তাদের মধ্যে নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম ছিলেন। মূলত পেশাজীবীদের ওপর ভর করে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি এমনটা মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর