সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে বক্তারা

রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম কাম্য নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম কাম্য নয়। যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছেন তাদের ধংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করে মানুষের জন্য রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মিডিয়া ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিস আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ‘রাজনীতির নামে জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ ও নাশকতা বন্ধ কর, নির্বাচনই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ’ স্লোগানে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি এম. শফিকুল করিম সাবুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগে যারা বিএনপি-জামায়াতকে আন্দোলনে সাহস দিত তারা এখন সাহস দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে এরা এমনই সংগঠন যে এদের সাহস দিলেও হয় না, ভিটামিন ট্যাবলেট দিলেও কাজ হয় না। এরা আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না। রাজনীতিতে কিছু ছোট ছোট দল আছে। এরা আবার বিএনপির মিত্র। এরা ব্যাঙের ছাতার মতো। কিন্তু এদের আওয়াজ বড়। নির্বাচনে দাঁড়ালে ১ হাজার ভোটও পায় না। এই ব্যাঙের ছাতারাও এখন বুঝতে পেরেছে বিএনপির সঙ্গে থেকে কোনো লাভ নেই। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যেভাবে পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে আইসিইউ ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, সেটি ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতাকেই মনে করিয়ে দেয়। আগুনসন্ত্রাস, বাস ড্রাইভার-হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা করা ও গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া এগুলো কোনো রাজনীতি নয়। এগুলোকে অপরাজনীতি বললেও ভুল হবে। পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে রাজনীতির নামে এমন নৃশংসতা হয়নি, যেটা বিএনপি-জামায়াত করেছে। মন্ত্রী বলেন, একটি গাড়ি বা বাস পুড়িয়ে দেওয়া মানে একটা পরিবার পুড়িয়ে দেওয়া, একটি পরিবারের স্বপ্নকে পুড়িয়ে দেওয়া। গাড়ি-ঘোড়ায় যারা চলাচল করে তারা সাধারণ মানুষ। তারা রাজনীতি বোঝে না বা রাজনীতি করে না। এদের ওপর যারা হামলা চালায় তারা কীসের রাজনীতি করে? এরা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু ও রাষ্ট্রের শত্রু। আমাদের সবাইকে এদের প্রতিহত করতে হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো কোনো দল সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে। আমরা দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চাই না। আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। গত ২৮ অক্টোবর যে ঘটনা ঘটেছে না ন্যক্কারজনক। ওই ঘটনায় আমাদের ৩২ জন সাংবাদিক আহত হয়। প্রধানমন্ত্রী তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। দেশে নির্বাচন নিয়ে যে উৎসাহ-উদ্দিপনা শুরু হয়েছে সেখানে নিয়মের বাইরে গিয়ে জ্বালাও-পোড়াও করে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই।

দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে মানুষ ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি চায় না। বাসে আগুন, রেললাইন কেটে ফেলা কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। মানুষ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, দেশে উন্নয়ন পেছাতে চায় একটি চক্র। তারা নানাভাবে কাজ করছে। রাজনীতির নামে সন্ত্রাস করছে। এসব মানা যায় না।

সর্বশেষ খবর