মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রতীক পেয়েই জমজমাট প্রচারণা চট্টগ্রামে

আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম

প্রতীক পেয়েই জমজমাট প্রচারণা চট্টগ্রামে

প্রতীক পেয়ে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলে দুপুরের পর থেকে মিছিল স্লোগানে জমে ওঠে নির্বাচনি প্রচারণা। বিকালে বেশ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনি প্রচারণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনেক প্রার্থী তাদের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকাল থেকে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হয়। যারা বিভিন্ন দলীয় প্রার্থী তারা দলীয় প্রতীক পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে যেসব প্রতীকের জন্য এক আসনে একজন প্রার্থী অবেদন করেছেন তিনি তার কাক্সিক্ষত প্রতীক পেয়েছেন। তবে যেসব প্রতীকের জন্য একাধিক প্রার্থী আবেদন করেছেন তাদের একজন পছন্দের প্রতীক পেলেও অন্যজন বিকল্প প্রতীক পেয়েছেন। এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন এলাকায় মিছিল, সমাবেশ, গণসংযোগ, নির্বাচনি কেন্দ্র উদ্বোধন, ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জমজমাট হয়ে ওঠে নির্বাচনি মাঠ। প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে শুরু করেছেন। প্রতীক পেয়ে গতকাল বিকালে নির্বাচনি এলাকার ইছাখালীতে সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছেন চট্টগ্রাম-৭ আসনের প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল তারা বেলুনের মতো টুস করে চুপসে গেছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে রাঙ্গুনিয়ায় লাখ লাখ মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবে। সারা দেশেও ভোট নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।’

চট্টগ্রাম-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন কেটলি প্রতীক পেয়ে বিজয় র‌্যালি করেছেন। বিকালে আগ্রাবাদ কমার্স কলেজের সামনে থেকে শুরু হওয়া র‌্যালিতে হাজারো নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন। বিজয়ের মাস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালিটি কমার্স কলেজ থেকে শুরু হয়ে আগ্রাবাদের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবদুল্লাহ কনভেনশন হলে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করে জনগণ কাকে চায়। কেটলি প্রতীকে ভোট দিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে আমি জনগণের সেবায় নিজেকে সবসময়ের মতো নিয়োজিত রাখতে চাই।

এদিকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মিরসরাইকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-১ আসনের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল। সেখানে তিনি বলেন, ‘একটি আধুনিক, স্মার্ট, সমৃদ্ধশালী, মাদকমুক্ত মিরসরাই গড়ে তুলতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাব।’ পরে তিনি করেরহাট ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। প্রতীক বরাদ্দের পর চট্টগ্রাম-৯ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিবুল হাসান চৌধুরী আন্দরকিল্লাহ, জেল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোরালো প্রচারণা শুরু করেছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর