হীরা বা ডায়মন্ডের অলংকার কেনার সময় প্রতারণা এড়াতে সারা দেশের ক্রেতাদের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন’ বাজুস। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়- বাজুসের সদস্য প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড হাউসের নাম ব্যবহার করে ঢাকাসহ দেশের একাধিক স্থানে একটি অসাধু চক্র নিত্যনতুন শোরুম খুলেছে। এসব শোরুমের নাম দেওয়া হচ্ছে ডায়মন্ড হাউস, যা প্রকৃত অর্থে প্রতারণা। বাজুস সদস্য প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড হাউসের শোরুম শুধু মাত্র রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে রয়েছে। অথচ প্রতারক চক্র পরিচালিত ভুঁইফোঁর ডায়মন্ড হাউস নামের শোরুম রাজধানীর পিংক সিটি, ধানমন্ডির মেট্রো শপিংমল, শান্তিনগরের টুইন টাওয়ার, ফরচুন শপিংমল, উত্তরার রাজলক্ষ্মী শপিং কমপ্লেক্স ও চট্টগ্রামসহ কয়েকটি স্থানে রয়েছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, একটি প্রতারক চক্র পরিচালিত ভুঁইফোঁড় ডায়মন্ড হাউস নামের শোরুম থেকে ক্রেতারা অলংকার কিনে প্রতারিত হলে, তার দায় বাজুস নেবে না। ভুঁইফোঁর ডায়মন্ড হাউস নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাজুস। গতকাল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের বাজুস কার্যালয়ে সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং আয়োজিত ‘অংলকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণন নির্দেশিকা বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ক্রেতাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বাজুসের সহসভাপতি এম এ হান্নান আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাজুস সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, সংগঠনের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসান, মাসুদুর রহমান ও সমিত ঘোষ অপু, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূঁইয়া লিটন, সদস্য সচিব বাবলু দত্ত প্রমুখ।