বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শেয়ারহোল্ডারদের ১১ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে বসুন্ধরা পেপার মিলস

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। গতকাল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত কোম্পানির ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সভায় অংশ নিয়ে তাদের মতামত দেন। সাধারণ সভায় ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন, শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, পরিচালকদের পুনর্নির্বাচনসহ কোম্পানির ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক নিয়োগবিষয়ক আলোচ্য সূচিগুলো সর্বসম্মতিতে অনুমোদিত হয়। চলমান সংকট প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আলোচ্য বছরের নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণাকে কোম্পানির সাফল্যের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন শেয়ারহোল্ডাররা। একই সঙ্গে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। কোম্পানির উপদেষ্টা ও বিকল্প পরিচালক এ আর রশীদির সভাপতিত্বে সভায় সংযুক্ত ছিলেন পরিচালক ইমরুল হাসান, মো. নাজমুল আলম ভূইয়া, নিরপেক্ষ পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান ও মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান এফসিএ, চিফ অপারেটিং অফিসার মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসানসহ কোম্পানির বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভা সঞ্চালনা করেন কোম্পানি সচিব এম. মাজেদুল ইসলাম। সভাপতির বক্তব্যে এ আর রশীদি বলেন, আলোচ্য বছরে উৎপাদনের পরিমাণ কিছুটা হ্রাস পেলেও বিগত বছরের তুলনায় মোট ১৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা এ বছর ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪৫.৫০ কোটি টাকা হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও এ কোম্পানি ১০১২ দশমিক ১২ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি করেছে। এ রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে। আলোচ্য বছরে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ কোম্পানি প্রায় ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কাগজ ও কাগজজাত পণ্যের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৮ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন। বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড এ দেশের কাগজ ও কাগজজাত পণ্যনির্ভর খাতের প্রায় ৩০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও ধরে রেখেছে। একই সঙ্গে দেশে বর্তমান টিস্যু পণ্যের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন, এ ক্ষেত্রে বসুন্ধরা পেপার মিলসের অবদান মোট চাহিদার প্রায় ৭৫ শতাংশ। তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিও আলোচ্য বছরে কিছুটা ঝুঁকির সম্মুক্ষীন; যার বিরূপ প্রভাব দেশের অন্যান্য শিল্পের মতো কাগজশিল্পেও পড়েছে। কাগজশিল্পের চূড়ান্ত চাহিদার মৌসুমে মুদ্রাস্ফীতি, ব্যাপকহারে ডলার সংকট, কাঁচামালের অপ্রতুলতা, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে আমাদের কোম্পানির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু দক্ষ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তন ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ব্যাপক ক্ষতি রোধ করে, সুরক্ষিত করতে সক্ষম হয়েছে আপনাদের বিনিয়োগ।

কোম্পানির বিকল্প পরিচালক আরও বলেন, শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত হওয়ার পর অর্থাৎ বিগত ছয় বছরে ৪ হাজার ৪৪৫ জন কর্মীর সমন্বয়ে পরিচালিত এ কোম্পানি আলোচ্য বছরের ১৫৬ দশমিক ৬৬ কোটিসহ আয়কর, আবগারি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর বাবদ মোট ৬০১ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে পরিশোধ করে সরকারের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল-২০৪১ বাস্তবায়নের অংশীদার হওয়ার মর্যাদা লাভ করেছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর