রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চ থেকে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চ থেকে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবি

প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চ বানিয়ে সেখান থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চটি স্থাপন করা হয়। পরে সেখানে একটি শিক্ষার্থী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ‘চাকরিতে প্রবেশের  বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী   সমন্বয় পরিষদ’-এর সভাপতি শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ৫ লাখ শূন্যপদ আছে। এখন যদি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়, তাহলে বেকারত্ব হ্রাস পাবে। ৫ লাখ পরিবার স্বাবলম্বী হতে পারবে। তাই আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে ৩০ থেকে ৩৫-এ উন্নীত করা হোক। অন্যথায় এ প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চে আমাদের ফাঁসি দেওয়া হোক।’

তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এর ঊর্ধ্বে। আমাদের পাশের দেশগুলোয় এ সীমা ৩৫ থেকে ৪৫-এর মধ্যে। আমাদের দেশে এটি কম হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে চলে যায় উচ্চশিক্ষার জন্য। এসে দেখে চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কম থাকায় তারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে চাকরি নিতে পারছে না। তারা দেশ থেকে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। এর মাধ্যমে মেধা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ যুবসমাজকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে।’

এ সময় ফাঁসির মঞ্চে প্রতীকীভাবে একজন বেকার শিক্ষার্থীর ফাঁসি মঞ্চস্থ করা হয়। ওই শিক্ষার্থী চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। পরে চাকরিপ্রত্যাশীদের একটি মিছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে নীলক্ষেত মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে  আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে  আসছেন এসব চাকরিপ্রত্যাশী। তাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে : চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫, অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধি, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে ‘বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও একটি ম্যুরাল) স্থাপন করা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর