সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভোটের দিন ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণার নির্দেশ ইসির

ভোটে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি রবিবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন ওইদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তিন দিন নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন।

গতকাল নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে পাঠানো পৃথক নির্দেশনায় বিষয়টি উঠে এসেছে।

 

ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের পাঠানো ওই নির্দেশনায় ভোটে কোন কোন যানবাহন চলাচল কখন বন্ধ থাকবে, সে নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক অথবা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

সড়ক বিভাগকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তফসিল অনুসারে, ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সাংবাদিক, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা কর্মচারী মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে ৬ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ, ইঞ্জিন বোট (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ব্যতীত) ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতিসাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনি এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।

সড়ক বিভাগকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক; জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন, আত্মীয়স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বা আত্মীয়স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শন সাপেক্ষে) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যে কোনো যানবাহনের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য। এ ছাড়া সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি পাবে, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া যাবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য একটি যানবাহন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য একটি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন) রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি পাবে। জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ছাড়াও আন্তজেলা বা মহানগর থেকে বের হওয়ার জন্য বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা এরূপ সব রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর