বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামের মন জয় করতে সচেষ্ট ছয় ইসলামী দল

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বারো আউলিয়ার শহর নামে খ্যাত চট্টগ্রামে ভোটারদের মন জয় করতে সচেষ্ট ছয়টি ইসলামী দল। জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগাতে তৎপর ছয়টি দল হলো- বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। জানা যায়, ছয়টি দল নানাভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে চট্টগ্রামে বেশ সক্রিয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি দলই প্রার্থী দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন দুটি আসন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রামের ১৫টি আসন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ১২টি আসন, বাংলাদেশ  সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) ৯টি আসন, ইসলামী ঐক্যজোট দুটি আসন ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন একটি আসনে নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে সক্রিয় আছেন। এর মধ্যে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য। তবে এবার তিনি তিন আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চট্টগ্রাম-৫ আসনের প্রার্থী মো. ইব্রাহিম মিয়া বলেন, চট্টগ্রামে ৯টি আসনে আমাদের প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীতে আমরা বেশি আশাবাদী। কারণ এখানকার মানুষ অনেক বেশি ধর্মপ্রিয়।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চট্টগ্রাম-৯ আসনের প্রার্থী মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ অনেক বেশি ধর্মপ্রিয়। তাই এবারের নির্বাচনে ইসলামিক ফ্রন্ট ১৫টি আসনে প্রার্থিতা দিয়েছে। আশা করি নির্বাচনে সাধারণ ও ধর্মপ্রিয় মানুষ চেয়ার প্রতীকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, এবার চট্টগ্রামের ১২টি আসনে আমাদের প্রার্থী নির্বাচন করছেন। এর মধ্যে তিন-চার আসনে আমরা জয়ী হওয়ার আশা নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমরা মোমবাতি প্রতীকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৩ জন ও নারী ৩১ লাখ ১৩ হাজার ২৮১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৬১ জন। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে ভোটার ছিল ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জন। এবারের জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ২ হাজার ২২টি এবং বুথের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৪১টি।  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ছিল ১ হাজার ৮৯৯টি। এবার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন একজন প্রিসাইডিং অফিসার, একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও দুজন পোলিং অফিসার। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিটি আসনে থাকবেন একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

সর্বশেষ খবর