শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কবি আবু বকর সিদ্দিক আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

কবি আবু বকর সিদ্দিক আর নেই

একেবারে নীরবে পৃথিবী ছাড়লেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিশিষ্ট কবি ও কথাশিল্পী আবু বকর সিদ্দিক। রাজশাহী বিশ্যবিদ্যালয় বাংলা বিভাগের এই প্রাক্তন শিক্ষক গতকাল ভোরে খুলনা নগরীর মুন্সিপাড়ায় ছোট বোনের বাসায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। এই বরেণ্য সাহিত্যিক দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। বিদিশা এরশাদ তাঁর মেয়ে। কবি, গীতিকার, ছড়াকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্যসমালোচক আবু বকর সিদ্দিক কবি হিসেবেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি আবু বকর সিদ্দিক ভূষিত হয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বঙ্গভাষা সংস্কৃতি প্রচার সমিতি পুরস্কার (কলকাতা), খুলনা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, বাগেরহাট ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশি-বিদেশি বহু পুরস্কার ও সম্মাননায়।

আবু বকর সিদ্দিক ১৯৩৪ সালের ১৯ আগস্ট বাগেরহাটের গোটাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। পর্যায়ক্রমে বরিশালের চাখার ফজলুল হক কলেজ, দৌলতপুর বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।

কবির প্রকাশিত আঠারোটি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ধবল দুধের স্বরগ্রাম (১৯৬৯), বিনিদ্র কালের ভেলা (১৯৭৬), হে লোকসভ্যতা (১৯৮৪), মানুষ তোমার বিক্ষত দিন (১৯৮৬)। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ১০টি। তার জলরাক্ষস (১৯৮৫), খরাদাহ, একাত্তরের হৃদয়ভস্ম, বারুদপোড়া প্রহর (১৯৯৬) উপন্যাস পাঠকপ্রিয়তা পায়।

গতকাল বাদ জোহর খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে টুটপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকসহ রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর