শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংসদ নির্বাচন

কড়া বার্তা হাইকমান্ডের

ভোটের মাঠে বিএনপির নেতা-কর্মীরা

মুহাম্মদ সেলিম ও ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

কড়া বার্তা হাইকমান্ডের

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো বর্জন করলেও ভোটের মাঠে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি দৃশ্যমান। এরই মধ্যে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের হয়ে মাঠে নেমেছে। নির্বাচনের প্রার্থীরাও বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মীদের মাঠে নামানোর পাশাপাশি ভোটারদের আকৃষ্ট করতে নানান ফিকির-ফন্দি করছে। নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে সক্রিয় হওয়ায় এরই মধ্যে চট্টগ্রামের ৫ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছে।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন উর রশিদ বলেন, ‘আমরা যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না, তাই নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর হয়ে কাজ করার সুযোগ নেই দলীয় নেতা-কর্মীদের। প্রার্থীর হয়ে কাজ করায় এরইমধ্যে চট্টগ্রামের ৫ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনো প্রার্থীর হয়ে কাজ না করতে এরই মধ্যে নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।’

জানা যায়, চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ১২৬ প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে স্বতন্ত্র     প্রার্থী। এ ছাড়াও ভোটের মাঠে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিএনপির ভোটে না আসাকে মোয়া হিসেবে নিয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে যে সব বিএনপি নেতার অবস্থান ভালো ও ভোটার টানতে পারবেন তাদের কাছে টেনে নিচ্ছেন প্রার্থীরা। অনেক সময় প্রকাশ্যে বিএনপির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ভোটের প্রচারণায়।

আবার অনেক বিএনপি নেতা গোপনীয়তা রক্ষা করে কাজ করছেন স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগসহ অন্য দলের প্রার্থীর হয়ে। বিনিময়ে তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে নির্বাচনের আগে ও পরে পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষার। আবার অনেকের সঙ্গে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন। এরইমধ্যে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব সিআইপির সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

তারা হলেন- সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালাম, জমির উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম ও সাতকানিয়া পৌরসভা কৃষক দলের সদস্য সচিব ইফতেখারুল ইসলামকে। হাটহাজারী আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মুবিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে কাজ করায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে কাজ করা নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে বিএনপির  পক্ষ থেকে। কারও বিরুদ্ধে নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রামাণিত হলে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর