থার্টিফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন প্রাণী নিয়ে কাজ করা কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। অবুঝ প্রাণী এবং শিশু ও বৃদ্ধদের কথা চিন্তা করে এই আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলো হলো পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (পিএডব্লিউ ফাউন্ডেশন), সেইভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ, ওয়াইলড ওয়াচ, স্টেলা ফাউন্ডেশন ও সেইভ ফিউচার বাংলাদেশ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আতশবাজি বা পটকাবাজি মূলত তিন ধরনের ক্ষতি করে। এগুলো ফোটানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দ হয়, যা আমাদের চারদিকে শব্দদূষণ ঘটায়। এই শব্দ শিশু, বৃদ্ধসহ অসুস্থ রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। এগুলোর কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার পাখি ও বন্যপ্রাণী অসুস্থ হয়ে মারা যায়। পথে থাকা কুকুর-বিড়াল ভয়ে ছোটাছুটি করে, আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া এটি পোড়ানো বা ফাটানো হলে এর ধোঁয়া থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক বায়ুদূষণ ঘটায়, যা পরে ফুসফুসের নানা রোগের কারণ হয়। তারা আরও বলেন, পটকা ও আতশ কাগজ, ছোট ছোট পাথরের টুকরা ও বিস্ফোরকে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয় যা বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে কঠিন বর্জ্যে পরিণত হয়। এসব বস্তু পরিবেশ দূষণ করে এবং এগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এবারের থার্টিফার্স্ট নাইট কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পটকা ফোটানো বা আতশবাজি থেকে বিরত থাকা উচিত। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সেইভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ, ওয়াইলড ওয়াচের সদস্য সুমন মজুমদার, স্টেলা ফাউন্ডেশনের নোনা আহমেদ, সেইভ ফিউচার বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক নয়ন সরকারসহ অনেকে।