রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে খোশমেজাজে জাবেদ লতিফের টেনশন সুমন

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে খোশমেজাজে জাবেদ লতিফের টেনশন সুমন

চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। নির্বাচনে তাঁর পক্ষে একাট্টা দলটির স্থানীয় নেতারা। টানা দুই মেয়াদে মন্ত্রী ও তিন মেয়াদে এমপি হয়ে এ আসনে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বিপরীতে চট্টগ্রাম ১১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফের টেনশন বাড়িয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন। লতিফের পাশে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের দেখা না গেলেও সুমনের পক্ষে একজোট। ফলে এবার বিজয়ী হতে বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

চট্টগ্রাম-১৩ আসনের ভোটাররা বলছেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর রয়েছে বিশাল কর্মী ও সমর্থক। অপরদিকে অন্য প্রার্থীদের সেভাবে কোনো কর্মী সমর্থক নেই। এ আসনে সুন্নি আকিদার কিছু ভোট রয়েছে, বিশেষ করে আনোয়ারা উপজেলায়। তবে সুন্নি আকিদার দুই দল ইসলামিক ফ্রন্ট ও ইসলামী ফ্রন্টের দুই প্রার্থীর বাড়ি একই ইউনিয়নে হওয়াতে ভোটের মাঠে তারা সেভাবে সুবিধা করতে পারবে না। অপর ইসলামি দল সুপ্রিম পার্টির স্থানীয় পর্যায়ে কোনো কমিটিও নেই, তেমন কর্মী সমর্থকও নেই। জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুর রব নিজ উপজেলায় বেশ পরিচিত। পারিবারিকভাবে বনেদি পরিবারের সন্তান টিপুর দল জাতীয় পার্টির সেভাবে কোনো কর্মী সমর্থক নেই আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে। পাশাপাশি তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মকবুল আহমদ চৌধুরী সাদাতের নিজ বাড়ি বরুমচড়া ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সাদাতের ব্যক্তিগত পরিচিতি না থাকলেও এক সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার কারণে নিজ এলাকায় কিছুটা পরিচিতি রয়েছে। ফলে এসব প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে নির্বাচনি দৌড়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। জাবেদ ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের দুইবারের প্রেসিডেন্ট। বিপরীতে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাঁরা করছেন তাঁরা ভোটারদের কাছে অনেকটা অচেনা। যার কারণে ভোটের মাঠে জাবেদ ছাড়া অন্যদের সেভাবে প্রচারণা চোখে পড়ছে না। যার কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী অনেকটা নির্ভার।

বিপরীতে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফের সঙ্গে ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন। এম এ লতিফ চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও এ আসনের তিনবারের এমপি। স্থানীয় বন্দর কেন্দ্রিক তার আধিপত্য থাকলেও নিজ দলের নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক টানাপোড়েন রয়েছে। ফলে একটি অংশ সমর্থন দিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনকে।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করে এমপি প্রার্থী হওয়া সুমন ইতোমধ্যে বেশ এগিয়ে রয়েছেন প্রচারণায়। ফলে এম এ লতিফকে এবার বিজয়ী হতে মোকাবিলা করতে হবে নিজ দলের প্রার্থীকেই। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন প্রার্থী। তাদের সেভাবে আলোচনা বা প্রচারণায় দেখা মিলছে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর