বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

যে মামলায় ড. ইউনূসের শাস্তি হয়েছে সেখানে সরকার কোনো পক্ষ নয় : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

যে মামলায় ড. ইউনূসের শাস্তি হয়েছে সেখানে সরকার কোনো পক্ষ নয় : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আদালত এ দণ্ড দিয়েছেন। এরপর আপিল করার শর্তে তাকে আবার জামিন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা আছে এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়, মামলাও করেনি। মামলা করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীরা। সেই মামলায় শাস্তি হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে যে, লাভের ৫ শতাংশ তাঁর কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে, এ যাবৎ কখনো তা দেওয়া হয়নি। এটি না দেওয়ায় শ্রম আইনে মামলা করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।

মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে দুজন শ্রমিক নেতাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং দুজনকে ৩ কোটি করে ৬ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ শ্রমিকরা টাকা না পাওয়ায় তারা মামলা করেছেন। সুতরাং এখানে স্পষ্টত একটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এই অপরাধেই মামলা হয়েছে, শাস্তিও হয়েছে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এক দশকের বেশি সময় ধরে নিয়ম ভঙ্গ, কর ফাঁকি, তাঁর কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন অনুমোদিত সংস্থা থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা অপব্যবহার করার অভিযোগ আছে। ১৯৮৩ সালের গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি সরকারের নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। ১৯৯০ সালের সংশোধনী অনুসারে এমডি নিয়োগের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরসে স্থানান্তরিত হয়। এই পরিচালক বোর্ডের চেয়ারম্যান ১৯৯০ সালের ১৪ আগস্ট ড. ইউনূসকে এমডি হিসেবে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক শর্তসাপেক্ষে ড. ইউনূসের নিয়োগে অনাপত্তি দেয়।

সর্বশেষ খবর