সবজির ভরা মৌসুম এখন। বাজারে মিলছে হরেক রকমের সবজি। পাড়া-মহল্লায় ফেরি করে ও ভ্যানেও পাওয়া যাচ্ছে তরতাজা নানান ধরনের শীতকালীন সবজি। তবে দাম চড়া। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব রকম সবজি। গত বছরের এ সময়ের তুলনায় সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সঙ্গে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গতকাল রাজধানীর রায়েরবাগ ও মালিবাগ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রকারভেদে শিমের কেজি ৬০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য বছর এ সময়ে যা ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যেত। মটরশুঁটির কেজি ১৫০-১৮০ টাকা। এ ছাড়া লাউয়ের পিস আকারভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ধুন্দল ৭০ থেকে ৯০ টাকা, মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে নতুন আলু কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মানভেদে নতুন পিঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও সবজির দাম না কমার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, নির্বাচন উপলক্ষে অনেকেই গ্রামে চলে গেছেন। ফলে স্থানীয় বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক ঢাকায় সরবরাহ কমিয়েছে। পাশাপাশি নভেম্বরের মাঝামাঝি ও ডিসেম্বরের শুরুতে কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দামের ক্ষেত্রে। রায়েরবাগ বাজারে মোবারক হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘দোকানে এলেই দেখা যায় বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে পণ্যের দাম বাড়তি নিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে উল্টো অপমান হতে হচ্ছে। দরদাম করলে অন্য দোকান দেখতে বলছে। সবকিছুর দাম দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে, কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’ এদিকে রমজান আসতে এখনো দুই মাসের অধিক বাকি। তবে এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ছোলার দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডালজাতীয় এ খাদ্যপণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। একই সঙ্গে ছোলার ডাল, মুগডাল, অ্যাংকরসহ প্রায় সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ছোলার কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, যা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া মুগডালের কেজি দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। একই সঙ্গে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।