রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সিলেটে পুরনোতে আস্থা নাকি নতুনের বাজিমাত

৬টি আসনের মধ্যে ৪টিতে হবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

প্রায় এক মাস প্রচারণা শেষে আজ শুরু হয়েছে ভোটযুদ্ধ। ভোটাররা গোপন ব্যালটে নির্বাচিত করবেন তাদের আগামী দিনের প্রতিনিধি। এবার সিলেট জেলার ৬টি আসনের মধ্যে ৪টিতে হবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এসব আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন নতুন মুখ। যারা প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে দাপটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন পুরনো প্রার্থী ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে। তাই দিন শেষে ব্যালট গণনায় ভোটাররা পুরনোদের ওপর আস্থা রাখছেন, না নতুনরা চমক দেখিয়ে বাজিমাত করছেন সেই আলোচনা চলছে সিলেটজুড়ে।

সিলেট জেলার ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে সিলেট-১ ও ৪ আসনে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন যথাক্রমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

সিলেট-২ আসনে ১০ বছর পর নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। এ আসনে সাবেক ও বর্তমান তিন সংসদ সদস্য এবং একজন পৌর মেয়র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টি থেকে দশম জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী ইয়াহিয়া চৌধুরী ও গণফোরাম থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান। এ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সবাই এর আগেও নির্বাচন করায় নতুন মুখ নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

সিলেট-৩ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। এবার নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন ডা. দুলাল। নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। দলের বড় একটি অংশও তার পক্ষে কাজ করছে।

সিলেট-৫ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা তিন প্রার্থীর সবাই প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার এবার নির্বাচন করছেন না। আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. আহমদ আল কবীর ও আঞ্জুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা হুছাম উদ্দীন চৌধুরী। এ তিনজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে যিনিই বিজয়ী হন আসনটির ভোটাররা একজন নতুন মুখকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে পেতে যাচ্ছেন।এ ছাড়া এ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাব্বির আহমদও প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

সিলেট-৬ আসনে চতুর্থমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আসনটি থেকে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাতীয় পার্টি থেকে মো. সেলিম উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপি থেকে দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন। এ চার প্রার্থীর মধ্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ এ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মো. সেলিম উদ্দিন এর আগে সিলেট-৫ আসন থেকে দুবার নির্বাচন করে একবার বিজয়ী হন। শমসের মবিন চৌধুরী গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারা থেকে প্রার্থী হলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। আর প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার হোসেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর