রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নাশকতার গোয়েন্দা তথ্য ছিল : র‌্যাব ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্য ছিল। নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু কোথায় হবে এটা বলা কঠিন। তবে আমাদের নজরদারি অব্যাহত ছিল। নজরদারি ছিল বলেই তৎক্ষণাৎ কিছু ধরেছি। তদন্ত চলছে, দেখি কি পাওয়া যায়। গতকাল রাজধানীর মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ চত্বরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে এসব বলেন তিনি। এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শন ও নির্বাচন কেন্দ্রে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং র‌্যাবের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন র‌্যাব ডিজি। তিনি বলেন, নাশকতার ব্যাপারে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, এ ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই ভোট যারা বয়কট করেছেন বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের কথা আমরা জানি। আমরা শুক্রবার তিনজনকে আটক করেছি। তাদের কাছ থেকে ২৮টি পেট্রল বোমা পাওয়া গেছে, ককটেল পাওয়া গেছে ৩০টি। তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কেউ যদি ভোট দিতে চায় আর তাকে যদি বাধা দেওয়া হয় বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয় তা হবে সম্পূর্ণ অসংবিধানিক ও বেআইনি।

এ বেআইনি কাজ যারা করবে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছি তাদের কঠোরভাবে দমন করব।

র‌্যাব ডিজি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এমন কোনো হুমকি তৈরি হয়নি, এমন কোনো আশঙ্কা নেই যে মানুষ নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারবেন না। শুধু র?্যাব ফোর্সেস না, সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চমৎকার, স্বাভাবিক। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারবেন বলে আমি মনে করি। আমরা নির্বাচন উপলক্ষে তিনটি ফেজে কাজ করছি। নির্বাচন পূর্ববর্তী অবস্থা শেষ। রবিবার নির্বাচন। এই নির্বাচনে যারা ভোট দিতে আসবেন, আমাদের কাজ তাদের নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করা। ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করা। যারা নির্বাচনি কাজে সংশ্লিষ্ট এবং ভোট কেন্দ্রে রয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, নির্বাচনের পরে যারা জয়ী হবেন বা পরাজিত হবেন তাদের মধ্যেও সংঘর্ষ হয়। নির্বাচনের পরে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। সুতরাং ভয় পাওয়ার বা আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

র‌্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন এরই মধ্যে আমরা সেটা সম্পন্ন করেছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ নির্বিঘ্নে যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে জন্য আমরা প্রস্তুত। তিনি জানান, সারা দেশে যেখানে র‌্যাবের ইউনিট রয়েছে সেখানে আমরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রোবাস্ট প্যাট্রোলিং করছি। নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রায় ৭০০ মোবাইল প্যাট্রোল কাজ করবে। সেই সঙ্গে আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। আমাদের সাইবার প্যাট্রোলিংয়ের কাজ চলছে বিভিন্ন ধরনের গুজব প্রতিরোধ করার জন্য। আমাদের সুইপিং টিম কাজ করছে। থাকবে ডগ স্কোয়াড, বোম স্কোয়াড। বিশেষ কোনো জরুরি প্রয়োজন হলে আমাদের হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই থাকবে।

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর