সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই ভোটার এনেছেন

চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই ভোটার এনেছেন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোটারদের ছিল সবর উপস্থিতি। জেলা ও নগরীর দু-একটি কেন্দ্র ছাড়া সব কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন জনগণ। ভোটারের এমন উপস্থিতির নেপথ্য হিসেবে কাজ করেছে বেশির ভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আর কিছু কিছু আসনে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেজ। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ভোটাররা। এবারের নির্বাচনে বিগত যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। বেশির ভাগ আসনে ভোটার উপস্থিতির হার বৃদ্ধির টনিক হিসেবে কাজ করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আবার পটিয়া, মিরসরাই, রাউজান এবং রাঙ্গুনীয়ায় দলীয় প্রার্থীর ব্যক্তি ইমেজ ও জনসংযোগের কারণে ভোটাররা উৎসাহিত হয়ে কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনে ভোটারদের ছিল উৎসবমুখর উপস্থিতি। এ আসনের পৌরসভা ও আশপাশ এলাকায় লম্বা লাইন ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ির কেন্দ্র পশ্চিম পটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার রয়েছেন ৫ হাজার ৬৬১ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ২৬৭ জন। দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম-১১ বন্দর আসনের দক্ষিণ পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা হয় ভোটারের সরব উপস্থিতি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ৪ হাজার ৬০৮ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ২৪৪ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। চট্টগ্রাম-৮ চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনের মোহরা রাজাখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে গিয়ে দেখা যায় ভোটারের উপস্থিতি। প্রথম আধা ঘণ্টায় এ কেন্দ্রে ৭০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

বাইরে ভিড় ভিতরে ফাঁকা : চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী-ডবলমুরিং আসনের ওয়াসা এলাকার কেন্দ্র বাডস কিন্ডুরগার্টেন স্কুলে মোট ভোটার ৩ হাজার ২৭৪ জন। কিন্তু সকাল ১০টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭১টি। এ সময় কেন্দ্রের বাইরে প্রচুর সংখ্যক ভোটার, নেতা-কর্মী ও উৎসুক জনতা থাকলেও ভিতরে অনেকটাই ফাঁকা। গতকাল সরেজমিন নগরের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা যায়, সকাল ৮টায় ভোট শুরু হলেও বেলা ১০টা বা ১১টা পর্যন্তও অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো ছিল না। এ সময় ভোট গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্তরা অলস সময় পার করেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়ে। বাডস কিন্ডুরগার্টেন স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ভোট শুরুর সময় ভোটারের সংখ্যা কম হয়। এটি ভোটারদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস। তবে এখানে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। চট্টগ্রাম-১০ আসনের ২৫ নম্বর কেন্দ্র ঈদগাহ মুসলিম সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১ হাজার ২৭৫টি, ২৬ শতাংশ। মোট ভোট ৪ হাজার ৮৩১টি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুব্রত বড়ুয়া বলেন, দুপুরের পরই হয়তো ভোটাররা আসবেন।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের পাঠানটুলী সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের (মহিলা কেন্দ্র) মোট ভোটার ২ হাজার ৭৮৫টি। এর মধ্যে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়েছে ৩৩১টি, ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এখানে কেবল এজেন্ট ছিল নৌকা ও কেটলি প্রতীকের। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. তৌহিদুল আলম বলেন, মহিলারা একটু দেরি করেই ভোট দিতে আসেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর