সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বর্জনের মধ্যেও শান্তিপূর্ণ ভোট

সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

বর্জনের মধ্যেও শান্তিপূর্ণ ভোট

সিলেটে কয়েকজন প্রার্থীর বর্জনের মাঝেও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোট গ্রহণে অনিয়ম ও নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের কেন্দ্র দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে তিনটি আসনের ছয়জন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। এ ছাড়া সকালে সিলেট-১ আসনের একটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেট জেলার ছয়টি আসনের বেশির ভাগ কেন্দ্র ছিল ভোটারশূন্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রমুখী হতে থাকেন কিছু ভোটার। সিলেট-১ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় প্রায় কেন্দ্রই দিনভর ছিল ভোটারশূন্য। মাঝেমধ্যে দু-চার জন ভোটার এসে ভোট দিয়ে যান। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সকাল ১০টায় দুর্গাকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে ভোট দেন। সিলেট-২ আসনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা ছিল। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও স্বতন্ত্র মুহিবুর রহমানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বেশ উত্তেজনা ছিল। বেলা দেড়টার দিকে ওই আসনের চার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান (ট্রাক), জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া (লাঙল) এবং তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ আবদুর রব (সোনালি আঁশ) ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে প্রেস ব্রিফিং করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

সিলেট-৩ আসনেও নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দিনভর উত্তেজনা ছিল। ডা. ইহতেশামুল হক অভিযোগ করেন, বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজোড় বাজার উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে তাঁর এক কর্মীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন হাবিবের কর্মীরা। ডা. দুলালের অভিযোগ, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারধরে মহোৎসব হয়েছে। এদিকে সিলেট-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের ৩৬ কেন্দ্রের ভোট প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

সিলেট জেলার অন্যান্য আসনের চেয়ে ভোটার উপস্থিতিতে ভিন্ন চিত্র ছিল সিলেট-৪-এ। আসনটিতে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তাঁর সঙ্গে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ধারণা করা হচ্ছিল, ভোটার উপস্থিতি খুবই কম হবে। কিন্তু সকাল থেকে আসনটির বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

সিলেট-৫ আসনে টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. আহমদ আল কবীর তাঁর কর্মীদের মারধর এবং বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

সিলেট-৬ আসনেও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আসনটিতে নৌকা প্রতীকে নুরুল ইসলাম নাহিদ, তৃণমূল বিএনপি থেকে দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী ও স্বতন্ত্র হিসেবে কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। নিজ আসনে ভোট না থাকায় শমসের মবিন চৌধুরী সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট-১ আসনের আম্বরখানা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে এসে ভোট দেন।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর