দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন সকালে মুন্সীগঞ্জে একটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে একজনকে কুপিয়ে হত্যার সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম। গতকাল বিকালে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের জানিয়েছে, এটা আসলে ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ওই ব্যক্তি অন্য কোনো একটি খুনের মামলায় আসামি ছিলেন। ওই এলাকায় আসায় ছুরিকাঘাতে তিনি মারা গেছেন বলে পুলিশ সুপার আমাদের জানিয়েছেন। তদন্ত করলে আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে পারব। নির্বাচন কমিশনের ব্রিফিংয়ে জাহাংগীর আলম জানান, জাল ভোট দেওয়ার কারণে এ পর্যন্ত তিনজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। একজন পোলিং এজেন্টকে জাল ভোট দিতে সহায়তা করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের টেঙ্গর শাহী মসজিদ তিন রাস্তার মোড়ে ওই হত্যাকান্ড ঘটে। নিহত জিল্লুর রহমান (৪৫) টেঙ্গর এলাকার শরিতুল মুন্সীর ছেলে। তিনি এ আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক। পুলিশ সুপার আসলাম খান সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
টেঙ্গর শাহী মসজিদ তিন রাস্তার মোড়ের একদিকে টেঙ্গর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরেকদিকে রিকাবিবাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। দুটি বিদ্যালয়ই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র।