দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘জনগণের বিজয়’ বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। গতকাল ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি যাদের কাছে কৃতজ্ঞ তারা হলেন বাংলাদেশের জনগণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জনগণের বিজয়। বিএনপির ভোট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের বর্জন করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আইনবিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু প্রমুখ।
উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় অতীতে হরতাল-অবরোধ দিয়েছে, সহিংসতা করেছে। অপরাজনীতির কুচক্রে তারা আটকে গেছে। এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। ভোট প্রদানে কোনোরকম ভয়ভীতি, হস্তক্ষেপ হয়নি। এ নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা শক্তিশালী করবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা প্রত্যক্ষ করেছেন নির্বাচন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনি আয়োজন ও পরিচালনায় নিয়োজিত সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। গণমাধ্যমে ৩৭টি সহিংসতার খবর পেয়েছি; যা ৪২ হাজার কেন্দ্রের তুলনায় নগণ্য। তিনি বলেন, আমরা যে ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে সক্ষম হয়েছি এজন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। আশা করি এ নির্বাচনে নৌকা মার্কা বিজয়ী হবে। শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা, সাহসিকতায় নৌকার পক্ষে রায় আসবে বলে আমি আশাবাদী।