সব প্রতিকূলতা, অপপ্রচারের মুখে শান্তিপূর্ণ সফল নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান ১৪-দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বরিশাল-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে নির্বাচন করছি। আমার অভিজ্ঞতায় এ ধরনের নিরপেক্ষ নির্বাচন খুব একটা দেখিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোটের করুণ পরিণতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মেনন বলেন, জোটের শরিক দলের বড় নেতারা নির্বাচিত না হওয়ায় রাজনৈতিক ইমপ্যাক্ট হবে বলে আমি মনে করি না। হ্যাঁ হবে- ক্ষতিগ্রস্ত হবে সম্পর্ক। কিন্তু একেবারে ওলট-পালট হবে- এটা মনে করছি না। গতকাল দুপুরে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচরের নিজ বাড়িতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। ১৪-দলীয় জোটের নেতা হাসানুল হক ইনু ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পরাজয় প্রমাণ করে নির্বাচন পাঁতানো হয়নি উল্লেখ করে মেনন বলেন- দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা পরাজিত হয়েছেন। এতে ১৪-দলীয় জোটে দলগতভাবে যতখানি না অসুবিধা হচ্ছে তার চেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে ওইসব আসনে স্থানীয়ভাবে যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং হওয়ার কথা আওয়ামী লীগের সঙ্গে, অথবা নৌকার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে, সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা সেভাবে হয়নি বলে আমার ধারণা। সে কারণেই খুব আনফরচুনেটলি তারা হেরে গেছেন। মেনন বলেন, আমি এখনো মনে করি ১৪ দল রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক। সামনে যে সংকট সমস্যাগুলো রয়েছে তাতে ১৪ দলের প্রয়োজনীয়তা আছে এবং থাকবে।

১৪-দলীয় জোটের ভবিষ্যৎ পরিণতি সম্পর্কে রাশেদ খান মেনন বলেন, আগামী এক মাস খুব ক্রুশিয়াল সময়। পার্লামেন্টের অবস্থা কী দাঁড়াবে, পার্লামেন্টের চেহারাটা কী হবে, সেখানে বিরোধী দল কারা হবে সেই প্রশ্নগুলো আসবে। সেগুলোর পরই স্থির হবে ১৪ দল কেন, সব রাজনৈতিক সমীকরণ কী দাঁড়াবে তার ওপর নির্ভর করবে।