৭ জানুয়ারির ‘প্রহসনের ডামি’ নির্বাচন বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি। ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল বিরান ভূমি। ৫/৭ শতাংশ ভোট পড়েছে কিনা সন্দেহ আছে। গণেশ উল্টে যাওয়ার ভয়ে তাড়াহুড়ো করে এমপি-মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন। কিন্তু এই শপথ নেওয়ায় কিংবা দ্রুত সরকার গঠনে কাজ হবে না। জনগণের আন্দোলনের মুখে এই সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লা কায়সারের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ। বক্তারা বলেন, নির্বাচনের দিন সিইসি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাকে জাগিয়ে ৪১ শতাংশ ভোটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকেরাও বেকুব হয়ে গেছে। ভোট দিলাম না কিন্তু এতো ভোট পড়ল কখন! যে দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তারাই বলছে ৭ তারিখে কোনো নির্বাচন হয়নি। সরকারি দলের জোট সঙ্গীরা, এমনকি তাদের নিজেদের কেন্দ্রীয় লোকেরাই বলছেন কারচুপি করে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। ফলে নির্বাচিতদের মানুষ বলছে ডামি লীগ। কেউ কেউ বলছেন তামাশা লীগ। এরা ভোট চুরি করে, টাকা পাচার করে, ব্যাংক লুট করে। এদের সিন্ডিকেটের রাজত্বের ফলে শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাজারে চাল-ডাল পিঁয়াজসহ সব জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। জনগণ এই দৌরাত্ম্য মেনে নেবে না। অচিরেই নতুন গণশক্তি রাজপথে অবস্থান নেবে। জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে এ সরকারের মসনদ ভেঙে পড়বে।