রবিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে : বাজুস

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস। গতকাল বসুন্ধরা শপিং সেন্টারে বাজুস কার্যালয়ে ‘জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান। বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসান, মাসুদুর রহমান, মো. জয়নাল আবেদীন খোকন, সমীত ঘোষ অপু, সহসম্পাদক ফরিদা হোসেন, কোষাধ্যক্ষ উত্তম বণিক, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, মো. শামসুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উপপরিচালক এস এম শাহজাহান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সদস্য বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী প্রমুখ। সভায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা চালুর জন্য বাজুস যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তিনি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, জুয়েলারি কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা একটি গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা নয়। জুয়েলারি শিক্ষাব্যবস্থার ইকুইপমেন্ট আমাদের আছে কিন্তু কোনো কোর্স চালু নেই, বাজুস শুরু করলে আমরা এটাকে একটা বড় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব। সভায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের দেশের জুয়েলারি শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগরদের কারিগরি শিক্ষা প্রয়োজন। ডিপ্লোমা কোর্স চালু করলে কারিগররা আরও শিখতে পারবে। তাই তিনি জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। বাজুসের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসান বলেন, দেশের অনেক কারিগর আছেন যাদের শিক্ষিত করে নিতে পারলে আরও এগিয়ে যাবে জুয়েলারি শিল্প। মাসুদুর রহমান বলেন, কারিগরি শিক্ষা নিতে পারলে জুয়েলারি শিল্পে আউটপুট আরও ভালো আসবে। মো. জয়নাল আবেদীন খোকন বলেন, কারিগররা সঠিক মূল্যায়নের অভাবে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। এদের ধরে রাখতে হলে কারিগরি শিক্ষাটা আমাদের জরুরি। সভায় সমীত ঘোষ বলেন, আমাদের দেশের কারিগররা তেমন শিক্ষা পায় না। পেলে আরও ভালো কাজ পাব কারিগর থেকে। আনোয়ার হোসেন বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের বিকল্প এখনো আমরা তৈরি করতে পারিনি। জুয়েলারি ইনস্টিটিউট তৈরি করতে পারলে আমরা তার বিকল্প হয়ে উঠতে পারি। উত্তম বণিক বলেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে জুয়েলারি শিল্প। ওই সভায় বাজুস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজার, দেশীয় বাজার এবং সাধারণ ভোক্তাদের বিবেচনায় রেখে দেশীয় বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ। বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের স্বপ্ন একটি আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘বাজুস ইনস্টিটিউট’ গড়ে তোলা। জুয়েলারি খাতে উদ্যোক্তা তৈরি করা। জুয়েলারি শিল্পকে শীর্ষ রপ্তানির খাত হিসেবে তৈরি করা। এ ছাড়াও বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৩০টিরও অধিক দেশে জুয়েলারি সম্পর্কিত শিক্ষাব্যবস্থা চালু রয়েছে। গহনা তৈরির মৌলিক জ্ঞান, বাণিজ্য দক্ষতা বৃদ্ধি, রপ্তানিকেন্দ্রিক শিল্পব্যবস্থা গড়ে তুলতে অগ্রবর্তী ভূমিকা রাখছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর