মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অর্ধেক ক্লিনিকই অবৈধ রাজশাহীতে

অভিযান হলেই বদলে যায় নাম, ফের পুরোদমে চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর ডিবি অফিসের পূর্বদিকে ছিল ‘এইড প্লাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামের একটি ক্লিনিক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর সেটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। অভিযানের এক মাস পর সেটি আবার চালু হয়েছে। তবে ভিন্ন নামে। একই কর্মচারী ও মালিকানায় চলছে ‘ইউনিল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে। শুধু এই একটি ক্লিনিক নয়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর বদলে যাচ্ছে নাম। আবারও ক্লিনিকগুলো ভিন্ন নামে চালু হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, এইড প্লাসকে জরিমানা করায় বাজারে বদনাম হয়েছে। আর তাই সেই কর্তৃপক্ষের একটি অংশ নাম পাল্টে একই স্থানে খুলে বসেছে একই ধরনের ব্যবসা। অনুমোদন না থাকা লক্ষ্মীপুরের দুটি ক্লিনিকের মধ্যে মডার্ন হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য ক্লিনিক অন্যতম। রাজশাহী সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে থাকা তথ্যে ক্লিনিক আছে ২৭০টি। তবে বাস্তবচিত্র ভিন্ন। সাড়ে ৪০০-এর বেশি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। যার অর্ধেকের বেশি ক্লিনিকের রেজিস্ট্রেশেন নবায়ন করা নেই। সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ক্লিনিকগুলোকে রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করতে চিঠি দেওয়া হলেও তাতে সাড়া কম।         

বিভাগীয় শহর রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকাটি ক্লিনিকপাড়া হিসেবে পরিচিত। যেখানে শুধু স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে ৮০টি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে ৬৩টি। তবে এর অধিকাংশই নানা অনিয়মে পরিচালিত হচ্ছে। এর বাইরে আছে বেশ কিছু অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। রাজশাহী জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ভিজিটের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন পড়ে। তারা নিয়মিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালান। যারা নিয়মের বাইরে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

রাজশাহী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এ এস এম মান্নান জানান, তারাও নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে সবার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে চান।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর