ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত বা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) করা দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ অবস্থান স্পষ্ট করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতি প্রচার করেছে মন্ত্রণালয়। গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের অভিযানে হতাহতের ঘটনায় ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অব্যাহত হামলা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ পরিকল্পিত আগ্রাসনকে গণহত্যা সনদসহ আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট অবজ্ঞা ও লঙ্ঘন বলে মনে করে বাংলাদেশ। তাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা যে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সেই আবেদনের সমর্থন করে।
বিবৃতিতে গণহত্যা কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তির জন্য গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করার জন্য সব রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সব ধরনের সামরিক অভিযান স্থগিত করা, গাজায় নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তার অনুমতি দেওয়ার যে অনুরোধ দক্ষিণ আফ্রিকা করেছে বাংলাদেশ সেটিকেও সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান ও একটি স্থায়ী সমাধান আশা করে বাংলাদেশ। সে জন্য ১৯৬৭ সালের আগে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের যে সীমানা ছিল সেটি বিবেচনায় নিয়ে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।