বুধবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্বর্ণালংকার পরিবহনে পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি বাজুসের

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বর্ণালংকার পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি, বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাজুসের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে কোনো হয়রানি না করে তার যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। একই সঙ্গে বাজুসের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ছয়টি প্রস্তাব দেওয়া হয়। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বাজুস প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়। বৈঠক শেষে বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, বাজুসের কিছু সমস্যা নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বাজুসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ৪০ হাজার জুয়েলারি দোকান মালিক একই ছাতার নিচে এসেছেন। আমরা বিভিন্ন সংকট পার করেছি। বাজুসের কিছু সমস্যা নিয়ে আমরা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। মন্ত্রী অতীতেও সুন্দর ভূমিকা রেখেছেন, ভবিষ্যতেও আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানে পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা স্মার্ট জুয়েলারি ব্যবসায়ী হতে চাই। এজন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন নীতিমালা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমরা স্বর্ণ রপ্তানি করতে পারব, আমদানি করতে পারব। এ আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা স্বর্ণের মূল্যটা নির্ধারণ করতে পারি না। বাজুস যেভাবে কাজ করছে আমাদের সমন্বয়ে আগামী দিনে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো আমরা নিরসন করতে পারব। আমাদের মূল সমস্যা ছিল স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় পুলিশি হয়রানি হয়, সে বিষয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি।

দিলীপ কুমার বলেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় বাজুসের সাংগঠনিক কমিটি রয়েছে। সে জায়গার আইনশৃঙ্খলা কমিটিগুলোয় বাজুসের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিকে অন্তর্ভুক্ত রেখে যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে কাজ করবে, এ কথাটা আমরা বলেছি।

বৈঠকে বাজুসের পক্ষ থেকে ছয়টি প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় জুয়েলারি শিল্পের অনেক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান হওয়ায় বাজুসের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভবিষ্যতেও বাজুসের যেকোনো সমস্যা সমাধানে তাঁর আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্সে বাজুসের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে চোরাচালানবিরোধী কার্যক্রমে বাজুসের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে বাজুসের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সারা দেশে জুয়েলারি দোকানে এযাবৎকাল অনেক চুরি-ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনায় বর্তমান আইন অনুযায়ী সাধারণ চুরি মামলা থানা গ্রহণ করে। স্বর্ণ একটি মূল্যবান ধাতু। তাই আইন পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অতীতে সংঘটিত অপরাধ তদন্তে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ সময় বাজুসের সহসভাপতি গুলজার আহমেদ, মো. রিপনুল হাসান, মাসুদুর রহমান, মো. জয়নাল আবেদীন, সমিত ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ ও কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর