অনুমোদনহীন সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তালিকা চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে বগুড়ায় বৈধ-অবৈধ বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।
বগুড়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ৩৯০টি অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংক রয়েছে। ২৬টির লাইসেন্স থাকলেও সেগুলো বন্ধ রয়েছে। বৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে ১৯৮টি, আদমদীঘিতে ১৬টি, ধুনটে ২০, দুপচাঁচিয়ায় ৩৫, গাবতলীতে দুটি, কাহালুতে তিনটি, নন্দীগ্রামে সাত, সারিয়াকান্দিতে ছয়টি, শাজাহানপুরে ১২টি, শেরপুরে ৩৯টি, শিবগঞ্জে ৩১টি এবং সোনাতলায় ২১টি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শফিউল আজম জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় বগুড়ায় বৈধ-অবৈধ বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হচ্ছে। অধিদফতরের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অনুমোদিত ও অনুমোদনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তালিকা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করতে গিয়ে আয়ান নামে এক শিশুমৃত্যুর ঘটনার পর গত ১৫ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতর এ নির্দেশনা দিয়েছে।খুলনায় অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান : খুলনায় অনুমোদনহীন ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল র্যাবের অভিযানে অনুমোদনহীন ল্যাব পরিচালনার অভিযোগে দুই ক্লিনিককে দেড় লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডা. সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, খুলনার হরিণটানা মোহাম্মদনগর এলাকায় ছফুরা ক্লিনিক ও মোহাম্মদনগর হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, অনুমোদনহীন ল্যাব পরিচালনা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অপারেশন করা হচ্ছিল। র্যাবের অভিযানে ছফুরা ক্লিনিকের মালিক জিয়াউর রহমানকে (৩৩) চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৫৩ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড ও মোহাম্মদনগর হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মিসেস নুরুননাহারকে (৪১) ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চট্টগ্রামে অনুমোদনহীন দুটি থেরাপি সেন্টার বন্ধের নির্দেশ : চট্টগ্রাম নগরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অনুমোদন না নিয়ে কেবিনে রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ায় দুটি ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড নিউরো রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী। বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- পাঁচলাইশ এলাকার প্রচেষ্টা ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড নিউরো রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার এবং চট্টগ্রাম বেস্ট ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড নিউরো রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার দায়ে প্রতিষ্ঠানটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।