বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

শীতে পোলট্রি শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

শীতে পোলট্রি শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব

প্রচণ্ড শীতে রংপুরের পোলট্রি শিল্পে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শীতের কারণে মাংসের উৎপাদন কমে গেছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চললে পোলট্রি শিল্পে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। রংপুর পোলট্রি মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলায় ডিম ও মাংস উৎপাদনের প্রান্তিক খামার রয়েছে ১ হাজারের বেশি। ডিম উৎপাদনের প্রায় ১০০ আর মাংস উৎপাদনের ৯০০-এর বেশি। এ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল খামার রয়েছে তিন-চারটি। শীতের কারণে এসব খামারে বয়লার মুরগির উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে। বর্তমানে ডিমে লোকসান হচ্ছে বলে খামারিরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া শীতের কারণে রানিক্ষেত, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে। খামারিরা নিজ উদ্যোগে মুরগির পরিচর্যা করছেন। খামারিরা জানান, একটি ডিম উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ১০ টাকার ওপরে। কিন্তু বর্তমানে পাইকারি বিক্রি করতে হচ্ছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়। এ ছাড়া শীতের কারণে বয়লারের উৎপাদন কমে গেছে। ফলে বাজারে বয়লারের দাম বেড়েছে। ১৮০ টাকার বয়লার এখন ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। খামারিরা বলেন, শীতের কারণে বয়লার উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।

বুধবার সকালে নগরীর বাহারকাছনায় লিঙ্কন পোলট্রি ফার্মে গিয়ে দেখা গেছে, শীতের কারণে মুরগিগুলো ঝিমিয়ে পড়েছে।

খামারের মালিক জেলা পোলট্রি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরমানুর রহমান লিংকন জানালেন, শীতে পোলট্রি শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। মুরগির সর্দি-কাশি, রানিক্ষেতসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম, খাদ্য, শ্রমিক ও চিকিৎসা সংকটের কারণে ডিম ও মুরগি উৎপাদনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছেন না খামারিরা। ফলে মাংসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জেলা পোলট্রি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন বলেন, শীতের কারণে পোলট্রি শিল্পে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মুরগির বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে। ডিমের দাম কমেছে। তবে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে।

সর্বশেষ খবর