শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার শেয়ারবাজারে

দর পতনে কমল সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার শেয়ারবাজারে

শেয়ার কেনাবেচার সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই সীমা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে ৩৫টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলোর ওপর ফ্লোর প্রাইস থাকবে না।

বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, শেয়ারবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কমিশন ৩৫ প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। আর ফ্লোর প্রাইসের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কমিশন আশা করছে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কারণে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাজারে গতি ফিরে আসবে। শেয়ারবাজারে লাগাতার পতন ঠেকাতে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ২০২০ সালের মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি।

এদিকে সপ্তাহের শেষদিনে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও লেনদেন শেষে দরপতন হয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার থেকে দাম কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। এতে ডিএসইর সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে সিএসইতে সূচক কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। দাম কমেছে ১১১টির। আর ১৭২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭৬০ কোটি ৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৩২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়ার। দিনভর কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৯২ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের ৩১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৭ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম। অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৬৬টির এবং ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর