শিরোনাম
শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

শুরুতেই সেশনজটের ধাক্কা

শেকৃবি প্রতিনিধি

শুরুতেই সেশনজটের ধাক্কা

ভর্তির পাঁচ মাস পর সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হয়েছে। শেকৃবিতে যখন নবাগত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হচ্ছে একই সময়ে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ দিচ্ছে। এমতাবস্থায় ক্লাসের শুরুতেই সেশনজটের কবলে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। সূত্র মতে, কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা গত বছর ৫ আগস্ট এবং ফল প্রকাশ করা হয় ৯ আগস্ট। এর আগে একই বছর ২৭ মে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি স্বাক্ষরিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ৮ জুন থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়। এরপর একই বছরের ৮, ৯ ও ১০ অক্টোবর শেকৃবিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম চলে। এর মধ্যেই চলতে থাকে মাইগ্রেশন ও শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর চূড়ান্ত মাইগ্রেশনের পর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে ইতোমধ্যে শেকৃবির আসন পূরণ হওয়ায় নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম ছিল না। তবুও এর তিন মাস পর শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ও ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে।

অথচ আসন পূরণে পিছিয়ে থেকেও নভেম্বর মাসেই ওরিয়েন্টেশন ও ক্লাস শুরু করে দিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৭ ও ২৪ ডিসেম্বর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়। আর ডিসেম্বরে ক্লাস শুরু করে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরিয়েন্টেশন হয়েছে ১৮ জানুয়ারি। পিছিয়ে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও।

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন তালগোল অবস্থা চললেও ইতোমধ্যে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে বুয়েট, ঢাবি, রাবি, জাবি, চবিসহ বেশ কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ দিয়েছে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোও।

দেরিতে ক্লাস শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সময় অপচয়ের পাশাপাশি নষ্ট করছে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স। স্নাতকের শুরুতেই এভাবে সময় নষ্ট হলে পরবর্তী সময়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় কম পাওয়া যাবে বলে চিন্তিত অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

এ নিয়ে কিছুদিন পরপরই নবীন শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলতে দেখা যায়। সিনিয়রদের কাছে তারা জানতে চায় কবে শুরু হবে তাদের ক্লাস।

এ বিষয়ে শেকৃবিতে ভর্তি হওয়া কৃষি অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত তাদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছে, তারা এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় যদি ক্লাস না শুরু করে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা চাইলেই কিছুদিন আগে শুরু করতে পারতাম। কিন্তু দেশের বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় শুরু করিনি। আর ভর্তি পরীক্ষার দীর্ঘদিন পর ক্লাস শুরুর বিষয়টা তো শুধু আমাদের হাতে নেই। এটা সামগ্রিক একটা প্রক্রিয়া, যেহেতু গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর