রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে স্বাভাবিক হয়েছে গ্যাস সরবরাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের গ্যাস সরবরাহ। গতকাল দুপুরের পর থেকে নগরীর বাসাবাড়ির চুলোয় গ্যাস আসতে শুরু করে। যদিও মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের ত্রুটি সারিয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর থেকে হঠাৎ চট্টগ্রাম নগরীতে গ্যাস সরবরাহ থেমে যায়। ফলে শুক্রবার দিনভর নগরবাসীকে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চুলায় গ্যাস না থাকায় রান্না বন্ধ থাকে। হোটেল-রেস্টুরেন্টে খাবার কিনতে ছোটে মানুষ। দিনভর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস না থাকায় গণপরিবহন চলাচল কমে যায়। তবে গতকাল ভোর থেকে আস্তে আস্তে লাইনে গ্যাস আসতে শুরু করে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (বণ্টন) প্রকৌশলী গৌতম চন্দ্র কুন্ডু জানান, মহেশখালীর দুটি এলএনজি টার্মিনালের একটিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করায় সাময়িক সংকট তৈরি হয়েছিল। তবে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় টার্মিনালের কাজ শেষে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।

শনিবার বেলা ১১টার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

নগরীর আগ্রাবাদের বাসিন্দা আজিম অনন জানান, শনিবার সকাল ১১টার দিকে তার বাসার চুলোয় গ্যাস আসতে শুরু করে। প্রথম দিকে গ্যাসের সরবরাহ কম ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।

কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে দৈনিক ৩১২ মিলিয়ন থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দুটি সার কারখানায় দেওয়া হয় ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেওয়া হয়। বাকি গ্যাস দেওয়া হয় আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের।

সর্বশেষ খবর