সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অভিযানেও কমছে না চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিযানেও কমছে না চালের দাম

আমনের বাম্পার ফলন ও সরকারি গুদামে চালের পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও মিল মালিকদের কারসাজিতে অস্থির চালের বাজার। রাজধানীসহ দেশের পাইকারি বাজারে হু হু করে বেড়েছে দাম। তিন সপ্তাহ ধরে মিল পর্যায় থেকে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ৩০০ টাকা দাম বাড়িয়ে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। কেজিপ্রতি কমপক্ষে পাঁচ-ছয় টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। তবে দাম বাড়ার কারণে বাজার তদারকিতে নামে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এসব অভিযানের পরও কমছে না চালের দাম। গতকাল বাবুবাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে তদারকি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বাবুবাজারে দেখা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের টিম দোকানগুলোতে চালের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য, চালের মান, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামের পার্থক্য যাচাই করেন। সেখানে তারা বস্তার চালের নমুনা দেখেন। এর পর চালের বস্তার মধ্যে নাম ও দামের লিখিত মূল্য লাগানোর নির্দেশ দেন। এ সময় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন তারা। সংশ্লিষ্টরা জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মিলার পর্যায়ে আলোচনার পর বর্তমানে বস্তাপ্রতি কমানো হয়েছে ৫০-১০০ টাকা। তবে ভোক্তা পর্যায়ে এখনো বেশি দামেই কিনছে মানুষ। পাইকারি দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুরনো দামে চাল কেনা থাকায় নতুন করে দাম কমলেও সেই দামে কেনা চাল তাদের হাতে এখনো আসেনি। এতে বাড়তি দামেই চাল বিক্রি করছেন তারা। মোহাম্মদপুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে মিনিকেট প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৩-৭৫ টাকা। বিআর-২৮ কেজি ৬০ টাকা, বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা। স্বর্ণাপ্রতি কেজি ৫২-৫৫ টাকা। পাইজাম প্রতি কেজি ৫৫ টাকা। কাটারিভোগ প্রতি কেজি ৮৫-৯০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যে দামে চাল বিক্রি হয়েছিল, এখনো বাড়তি একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। খুচরা বিক্রেতারা জানান, চালের দাম কমার কথা বলা হলেও সেই চাল এখনো বাজারে আসেনি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল আমিন বলেন, আমাদের বাজার অভিযান একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া। বাজার নিয়মিত মনিটরিং হচ্ছে। আমাদের মনিটরিং টিমের মাধ্যমে আমরা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করছি। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা টানানোর জন্য বলেছি। তবে তদারকির কারণে দামও কমছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর