শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ২৮ অক্টোবর নোয়াখালীর সেনবাগে পুলিশের ওপর কথিত ককটেল হামলার গায়েবি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫৫ বছর বয়সী জন্মান্ধ আলমগীর হোসেন মিলনকে। অবৈধ ক্ষমতার মোহে সরকার এতটাই অন্ধ, একজন জন্মান্ধকেও আসামি করা হয়েছে। মিলন হাই কোর্টে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন নিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, একজন জন্মান্ধের পক্ষে পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ সম্ভব? একজন জন্মান্ধও পুলিশের নিষ্ঠুরতা থেকে রেহাই পায়নি! গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। সুপরিকল্পিত অপকৌশল গ্রহণ করে গোটা জাতির মেরুদন্ড ভেঙে দিতে চাচ্ছে সরকার। জাতিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে ভয়ংকর অন্ধকারের দিকে। নতুন কারিকুলামে স্বাস্থ্য শিক্ষার নামে যৌন শিক্ষামূলক ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে কিশোরমনকে বিকৃত করা হচ্ছে।

 তিনি বলেন, সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ বিরোধী কারিকুলাম বাস্তবায়িত হলে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিজ্ঞান শিক্ষার মারাত্মক সংকোচন ঘটেছে এ শিক্ষাব্যবস্থায়। নতুন কারিকুলামের সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, এ কারিকুলামে অনলাইন ব্যবহার সীমিত করার পরিবর্তে ব্যাপক করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা অনলাইন জুয়ার দিকে ঝুঁকেছে। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ৭ জানুয়ারি একদলীয় নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে বিরোধী দলের ওপর নজিরবিহীন দমনপীড়ন চালিয়েছে সরকার। দেশে-বিদেশে এ নির্বাচন হাস্যকর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এখন ডামি সরকার অভিনন্দন ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে দ্বিতীয় বাকশাল চলছে। ১৯৭৫-এর এ দিনেই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী লীগ। কারাগারে থাকা দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করে রিজভী আহমেদ বলেন, জাতিসংঘ আটক নেতা-কর্মীদের দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। একতরফা নির্বাচন করতে শীর্ষনেতাদের কারাগারে আটক করা হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভয়ংকর বাণিজ্য করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর