রাজধানীর দক্ষিণখানে সহকর্মীর মারধরে মো. সজীব (১৮) নামে এক গার্মেন্ট কর্মী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সহকর্মীর কিলঘুসি লাথিতে ছেলেটি মারা গেছেন। নিহত সজীব কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার ডাঙ্গেরগাওয়ের শাহেদ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি দক্ষিণখানের মুন্সি মার্কেট এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন এবং ফ্যাশন ডিজাইন নামে একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সজীবের কয়েক সহকর্মী তাকে ফোন করে ডেকেছিল।
কিন্তু তিনি যাননি। গতকাল সকাল ৯টার দিকে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। বটতলা গার্মেন্টের সামনে যাওয়া মাত্রই তার সহকর্মী মাহিন তাকে পথরোধ করে। পরে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সজীবকে কিলঘুসি মারতে শুরু করে মাহিন। সজীব অচেতন হয়ে পড়লে মাহিন ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। পরে অন্য সহকর্মীরা তাকে স্থানীয় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সংবাদ পেয়ে তার স্বজনরা ওই হাসপাতালে যান। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বেলা ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীবকে মৃত ঘোষণা করেন। সজীব ও তার বোন ঝুমা ওই গার্মেন্টে কাজ করেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। সজীবের বাবা রিকশা চালক এবং মা গৃহকর্মীর কাজ করেন।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শাহজাহান বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এদিকে শাহবাগ থানার এসআই মো. আবদুল খালেক মিয়া বলেন, গতকাল সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিতর পাম গাছের নিচে অজ্ঞাত পুরুষকে (৫০) অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার পরনে ছিল ময়লাযুক্ত নিল সাদা সোয়েটার ও লাল কালো চেক কম্বল। জানা গেছে, মৃত ব্যক্তি ভবঘুরে পাগল প্রকৃতির ছিলেন। অসুস্থজনিত কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।