অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজুস নেতাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে সরকার। সোনার অলংকার রপ্তানির নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সরকার সব ধরনের নীতিসহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করবে। এ ছাড়া জুয়েলারি শিল্পের যেসব সমস্যা ও সম্ভাবনা আছে তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। গতকাল বিকালে রাজধানীর ধামনন্ডিতে অর্থমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে বাজুস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ সময়ে বাজুস প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, সহসভাপতি গুলজার আহমেদ, মো. রিপনুল হাসান, মাসুদুর রহমান, সমিত ঘোষ প্রমুখ। উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, সহসম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম, উত্তম ঘোষ, মোস্তফা কামাল, কাজী নাজনীন হোসেন, ফরিদা হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, মো. আলী হোসেন প্রমুখ।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাজুস নেতারা বলেন, আমাদের দেশে জুয়েলারি খাতে উচ্চ হারে ভ্যাট আরোপিত হওয়ার ফলে ক্রেতা সাধারণ ভ্যাট প্রদানে অনীহা প্রকাশ করছেন। ক্রেতা সাধারণকে ভ্যাট প্রদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সোনার অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ভ্যাট হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা দরকার। নেতারা, দেশে জুয়েলারি শিল্প কারখানা স্থাপনে উৎসহিত করার জন্য আমদানিকৃত কাঁচামাল ও মেশিনারিজের ক্ষেত্রে সব ধরনের শুল্ক কর অব্যাহতি প্রদানসহ ১০ বছরের ট্যাক্স হলিডে প্রদান এবং স্বর্ণ পরিশোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা প্রদানের দাবি উত্থাপন করেন।