সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

গ্রন্থাগারবিমুখ রাবির ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী

আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস

রায়হান ইসলাম, রাবি

বিশাল আয়তন, পড়ার পর্যাপ্ত জায়গা তবুও বছর ধরে ফাঁকা পড়ে থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বেশি আসন। গত ১ বছরে গড় উপস্থিতি হিসাবে প্রতি মাসে ১০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী গ্রন্থাগারে গেছেন। প্রয়োজনীয় বই সংকট ও অভ্যন্তরের অব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগার বিমুখতা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে গত বছর প্রতি মাসে গড়ে আড়াই হাজার শিক্ষার্থী গ্রন্থাগারে গেছেন। সেই হিসাবে মাসে উপস্থিতির হার ১০ শতাংশের কম। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর বেশির ভাগ গ্রন্থাগারে বছরে একবারও যাননি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত একাডেমিক বই নেই। যেগুলো আছে, সেগুলোর বেশির ভাগ বিভাগের একাডেমিক কোর্সের কাজে লাগে না। অনেক বই ব্যবহার অনুপযোগী। এই অবস্থাতে আবার গ্রন্থাগারে বাহির থেকে বই নিয়ে পড়া যায় না। ফলে ভোগান্তি হয়।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান বলেন, আইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তেমন বই নেই। যা আছে তাও ভালো কোনো লেখকের নয়। কয়েক দশক আগের কেনা বইয়ের বেশির ভাগই শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কাজে লাগে না। একই কথা জানান বেশির ভাগ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া শৌচাগার সমস্যা, গরমকালে পর্যাপ্ত ফ্যান সমস্যা ও কর্মচারীদের অসহযোগিতার কথা জানান এবং এসব সমস্যার কার্যকরী সমাধান চান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, বছরে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে গ্রন্থাগার ও সেমিনার পুস্তক কেনা এবং উন্নয়ন বাবদ পৃথক ২০০ টাকা ফি নেওয়া হয়।

২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, গ্রন্থাগারে মোট পাঠ্য সামগ্রী ৩ লাখ ২২ হাজার ৩১৩টি এবং সাময়িকী আছে ৪৩ হাজার ৭৭৮টি। এ অর্থবছরে নতুন কেনা বই ১ হাজার ৪৯০টি এবং অনুদান পেয়েছে ১৯১টি।

অ্যাকুইজেশন শাখার কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, প্রতি বছর বাজেট     অনুসারে বিভাগগুলোতে বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়। তারা চাহিদার তালিকা দিলে সেই অনুযায়ী টেন্ডারের মাধ্যমে বই কেনা হয়। এ বছরও চাহিদা চাওয়া হলে মাত্র ৩৮টা বিভাগ তালিকা দিয়েছে। অন্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা সাঁড়া দেয়নি। তাছাড়া বিভাগভিত্তিক বইয়ের তালিকা এবং সেগুলোর ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া তা দিতে অস্বীকৃত জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত পড়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে। তাছাড়া প্রচলিত নোটপত্রে সীমাবদ্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী গ্রন্থাগারে যেতে চান না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর