মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বসুন্ধরার সেলাই মেশিনে আশার আলো

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

বসুন্ধরার সেলাই মেশিনে আশার আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দিতে হাজী নাবালক প্রি-ক্যাডেট একাডেমিতে অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। এতে ২৫ জন অসচ্ছল পরিবারের স্বামী পরিত্যক্তা বিধবা নারী ও অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণার্থীরা বলেন-

বসুন্ধরার এই সেলাই প্রশিক্ষণ আমাদের মতো হতদরিদ্রদের জন্য আশার আলো।

বসুন্ধরা গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর সরাসরি দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সহ-সভাপতি ও বাঞ্ছারামপুর ইসলামী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন রিপন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক মো. মামুন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক ও বসুন্ধরা শুভসংঘের কোষাধ্যক্ষ মো. মোশারফ হোসেন, বসুন্ধরা  ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার ও শুভসংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমির হোসেন আনোয়ার, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শুভসংঘের সদস্য প্রফেসর মো. চাঁন মিয়া সরকার, প্রি-ক্যাডেট একাডেমির প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার, শুভসংঘের সদস্য মো. বাছির। পাড়াতলী গ্রামের প্রশিক্ষণার্থী বেবি আক্তার (৩৫) বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমার অভাব মোছন হবে। কারণ উনারা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সেলাই মেশিনও দেবে। কাজ শিখে মানুষের কাপড় সেলাই করমু। সেলাইয়ের টাকা পাইয়া বাপ-মাকে নিয়ে শান্তিতে বসবাস করমু। আল্লাহর কাছে বসুন্ধরার সবার লাইগা দোয়া করি। দড়িভেলানগর গ্রামের প্রশিক্ষণার্থী সুমাইয়া বেগম (১৫) বলেন, আমার বাবা নাই। বসুন্ধরার মালিকরা আমার বাবার দায়িত্ব পালন করলেন। প্রশিক্ষণ শেষে মেশিন দিলে আমার পড়ালেখার খরচ আমি নিজেই জোগাইতে পারব। অর্থের অভাবে আর লেখাপড়ার সমস্যা হবে না। দড়িভেলানগর গ্রামের প্রশিক্ষণার্থী ময়না আক্তার (১৭) বলেন- অর্থের অভাবে লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছি না। প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন পাইলে লেখাপড়ার পাশাপাশি সেলাইয়ের কাজ করব।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর