মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফাদার মারিনো রিগনের শততম জন্মদিন উদযাপিত

বাগেরহাট প্রতিনিধি

মহান মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বিদেশি বন্ধু ফাদার মারিনো রিগনের শততম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বাগেরহাটের মোংলায় উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধাঞ্জালি, শোভাযাত্রা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে শোভাযাত্রাসহকারে মোংলা পৌরসভার সেন্ট পলস গির্জা প্রাঙ্গণে ফাদার মারিনো রিগনের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জালি জানানো হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সেন্ট পলস উচ্চবিদ্যালয়, সেবা সংস্থা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং ফাদার রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে ফাদার রিগনের কর্মময় জিবনের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী করা হয়। মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পালের সভাপতিত্ব স্মরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুর রহমান প্রমুখ।

সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর আলম শেখ, সেন্ট পলস ধর্মপল্লীর সহকারী পুরোহিত রিপন সরদার, ফাদার রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, সেন্ট পলস উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার এন্ড্রো জয়নক কস্তা সেবা।

বক্তারা বলেন, ফাদার মারিনো রিগন খ্রিস্টীয় ধর্ম প্রচারের জন্য ১৯৫৩ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি তীব্র অনুরাগ হয়ে ফাদার মারিনো রিগন ইতালিয়ান ভাষায় অনুবাদ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলিসহ প্রায় ৪০টি কাব্যগ্রন্থ, লালন সাঁইয়ের ৩৫০টি গান, জসীমউদ্দীনের নকশিকাঁথার মাঠ, সুজন বাদিয়ার ঘাট ছাড়াও বাংলাদেশের খ্যাতিমান কবিদের অসংখ্য কবিতা। ইতালিয়ান ভাষায় এসব অনুবাদ ছাড়াও তিনি ‘শৈলাবুনিয়ার রূপকথা’ ‘আমার গ্রাম’ ‘ভিল্লাভেরলা থেকে শৈলাবুনিয়া’ নামক তিনটি বাংলা বই লিখেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় ফাদার মারিনো রিগনকে ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ পদক দেয় সরকার। তার অন্তিম ইচ্ছা পূরণে ইতালিতে মারা যাওয়ার এক বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর লাশ ইতালি থেকে বাংলাদেশে এনে মোংলায় সমাহিত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর