মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক

বাংলাদেশকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রাখতে ভারতের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রেখে আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুস শহীদ। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ভারতের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল জাত বাংলাদেশে অবমুক্তি, চাষ ও বীজ উৎপাদনের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী। সীমান্তমুক্ত বীজের প্রস্তাব দেন তিনি। এ সময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দুই দেশের কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এ ছাড়া, সেচকাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বাংলাদেশকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রেখে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী। ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ভারতেও মাঝেমধ্যে কোনো কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়, দাম বেড়ে যায়। সেজন্য, অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক সময় বিশেষ ছাড় বা স্পেশাল এক্সেমশন দেওয়া হয়ে থাকে। কৃষি গবেষণা জোরদার করতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা সবসময় আমাদের পাশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রায় ১ কোটি মানুষকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল, বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছিল।

পরে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ফসলের উন্নত জাতের বীজ সীমান্তমুক্ত থাকলে আমরা ফসলের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারব। খাদ্যে উদ্বৃত্ত হওয়াও সম্ভব হবে। তিনি বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। কৃষি গবেষণায় আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাই। দেশে আমরা কৃষি গবেষণার সুযোগ-সুবিধা ও বিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করব।

টাঙ্গাইল শাড়ির মেধাস্বত্ব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি। তবে সচিব পর্যায়ে বৈঠকে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের সত্তা কেউ নিতে পারবে না। যেটা হয়েছে সেটি ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের অধিকার রাখার জন্য আপিল করব।

সীমান্তমুক্ত বীজ বলতে কী বোঝাতে চাচ্ছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বীজ আমদানিতে যদি কোনো বিধিনিষেধ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে বাধা আছে। এখন থেকে আমরা কৃষিখাতে উৎপাদন বাড়াতে যে কোনো ধরনের বীজ আমদানিতে বিধিনিষেধের বাইরে থাকব।

তাহলে কোনো বীজ আমদানি শুল্কমুক্ত থাকবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেটি অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিষয়। আমাদের মন্ত্রণালয়ের ভিতরে যা আছে সেটি আমরা করব। ভারতের হাইকমিশনার বলেছেন, এক্ষেত্রে যত ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন, সেটি তারা করবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর