বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
কুষ্টিয়ায় ১০ টুকরো লাশ

সজীব ও ইফতি তিন দিনের রিমান্ডে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় যুবক মিলনের ১০ টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি না দেওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজীব ও ইফতির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট মাহমুদা সুলতানার সদর আমলি আদালত এ আদেশ দেন। সদর আদালতের জিআরও এসআই ইস্কান্দার জানান, সজীব ও ইফতিকে রিমান্ড শুনানির জন্য গতকাল সকালেই আদালতে আনা হয়। দুপুরে শুনানি শেষে আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাজুমোহন সাহা সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন জানিয়েছিলেন।

বিকাল ৫টায় এসআই ইস্কান্দার বলেন- আসামি দুজন এখনো আদালতের হাজতখানায়। আদালতের লিখিত আদেশ আসার পর তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডে  গ্রেফতার ছয়জনের মধ্যে চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার দেশওয়ালী পাড়ার বাসিন্দা কাজী ফরহাদ হোসেনের ছেলে কাজী লিংকন হোসেন (২৩), সদর উপজেলার বোয়ালদাহ গ্রামের বাসিন্দা রফিক প্রামাণিকের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জনি আহমেদ (১৯), কুমারগাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৫) এবং হাউসিং এস্টেট ডি ব্লকের বাসিন্দা সাইদুল ইসলামের ছেলে মো. সজল ইসলাম (১৯)। আর আড়ুয়াপাড়া হরিবাসর মোড়ের ২২৯ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মৃত মিলন সেখের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এস কে সজীব (২৪) ও হাউসিং সি ব্লক ২৫৩ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা আওলাদ খানের ছেলে ইফতি খান (১৯) আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। তাদের তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিলেন আদালত। ৩১ জানুয়ারি নিখোঁজ হন যুবক মিলন। ৩ ফেব্রুয়ারি পদ্মার চর থেকে মিলনের ১০ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা করেন নিহতের মা শেফালি খাতুন।

সর্বশেষ খবর