শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পবিত্র শবেমেরাজ পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র শবেমেরাজ পালিত

আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দরবারে রোনাজারি ও ক্ষমাপ্রার্থনার মাধ্যমে গতকাল দেশব্যাপী পালিত হয়েছে পবিত্র শবেমেরাজ। আল্লাহর নৈকট্যলাভের আশায় রাতভর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আসকার ও নফল ইবাদতে মশগুল থাকেন। মসজিদে মসজিদে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, অগ্রগতির পাশাপাশি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

গতকাল হিজরি সনের ২৬ রজব বা পবিত্র শবেমেরাজ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, খানকা, দরগাহসহ ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন শবেমেরাজের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা, বয়ান, ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ উপলক্ষে গতকাল বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবেমেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন শায়খুল হাদিস মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ। নবুয়ত প্রাপ্তির একাদশ বছরে আল্লাহর প্রিয় হাবিব, নবী ও রসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) মেরাজ গমন করেন। আরবিতে মেরাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। এ মেরাজের অসিলায় উম্মতে মোহাম্মদী দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সওগাত এবং নামাজে দিদারে ইলাহির সওয়াব লাভের সুসংবাদ পায়। পবিত্র এ রাতে আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবিবকে প্রধান ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে প্রথমে মক্কা থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস পর্যন্ত এবং সেখান থেকে ঊর্ধ্বাকাশ ভ্রমণের পর একাকী আল্লাহর দিদার লাভ করার সৌভাগ্য দান করেছিলেন। পবিত্র কোরআনে একে ইসরা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

 এজন্য সুরা বনি ইসরাইলের আরেক নাম সুরা ইসরা। পবিত্র মক্কার হাতিম থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস হয়ে সাত আসমান পেরিয়ে বায়তুল মামুর ও সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত ভ্রমণে নবীজির সঙ্গী ছিলেন হজরত জিবরাইল (আ.)। এরপর সিদরাতুল মুনতাহা থেকে আরশে আজিম পর্যন্ত একাকী ভ্রমণ ও আল্লাহর দিদারের অনুমোদন পান নবীজি। পবিত্র কোরআনের সুরা আন নজমে আল্লাহ নিজেই মুহাম্মদ (সা.)-এর মিরাজ সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

সর্বশেষ খবর