শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

যশোর-খুলনা-মোংলা চার লেন সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন কত দূর

দফায় দফায় বদলেছে প্রকল্প ডিজাইন পরিকল্পনা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে যশোর-খুলনা-মোংলা ১১০ কিলোমিটার সড়কের চার লেন প্রশস্তকরণ প্রকল্প নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)। এর মধ্যে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি)-এর আওতায় জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা তৈরি হয়েছে। এখন সড়ক নির্মাণ কাজে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা চলছে। সওজ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্প অনুমোদিত হলে ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের কাজ করা হবে। এর পর ২০২৮ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজ করা হবে। জানা যায়, এর আগে ২০১৫ সালে খুলনা রূপসা কুদির বটতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার চার লেন প্রশস্তকরণে আলাদা প্রকল্পে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। ২০২৩ সালে ওই প্রকল্প সংশোধন করে নতুন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। যা মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে খুলনা-যশোর অংশে ২০১৭ সালের দিকে যশোর থেকে রাজঘাট পর্যন্ত ৩০-৩৫ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ করা হয়। তবে নওয়াপাড়ার কাছে রাস্তা প্রশস্ত করার সুযোগ না থাকায় সেখানে বসুন্দিয়া থেকে বাইপাস করার সিদ্ধান্ত হয়। যা খুলনা শহরকে বাইপাস করে কুদির বটতলাকে সংযুক্ত করবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী জানান, খুলনা-মোংলা সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প, যশোর-খুলনা সড়ক প্রকল্প ও বুসন্দিয়া-রাজঘাট বাইপাস সবগুলো প্রকল্পই একত্রিত করে যশোর-খুলনা-মোংলা প্রকল্পে ১১০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট ও যশোর তিন জেলায় জমি অধিগ্রহণে প্রায় ৫৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ ছাড়া ২০১৫ সালে কুদির বটতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প একনেক স্টাডি হয়েছে। সেই স্টাডি আপডেট করে যশোর-খুলনা-মোংলা সড়কে সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা। আলাদাভাবে দুটি প্রকল্পে প্রথমে জমি অধিগ্রহণ ও পরে সড়ক নির্মাণ কাজ করা হবে।

জানা যায়, জমি অধিগ্রহণ কাজ জিওবি ফান্ডে করা হবে। আর সড়ক নির্মাণ কাজে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাদের সঙ্গে প্লানিং কমিশন (ইআরডি) আলোচনা করছে। তবে এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। এর আগে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক নির্মাণ কাজে যাচাই-বাছাই এক বছর সময়ক্ষেপণ করে অপারগতা জানিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সড়কটিতে যাতায়াত সহজ হবে, দুর্ঘটনা কমবে। সেই সঙ্গে শিল্পকারখানা স্থাপন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।

সর্বশেষ খবর