শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ডব্লিউটিও সম্মেলন নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তারা

বিশ্ব বাণিজ্যে সুবিধা পেতে এখনই নিতে হবে প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের আগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় করতে এখনই প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুবিধা ধরে রাখতে সম্মিলিত প্রস্তুতি প্রয়োজন। বিশেষ করে বাংলাদেশকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের আলোচনায় এলডিসি থেকে উত্তরণ পর্যায়ে সুবিধা আদায় এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নশীল দেশের সুবিধার দিকে নজর দিতে হবে।

গতকাল রাজধানীর জতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন : বাংলাদেশের ভাগ্যে কি থাকছে?’ শীর্ষক আলোচনায় এসব বক্তারা এসব কথা বলেন। এফসিডিওর সহযোগিতায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টারগ্রাশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড)’ এ সভার আয়োজন করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন বিশেষ অতিথি। সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন র‌্যাপিড চেয়ারম্যন ড. আবদুর রাজ্জাক। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তাফা আবিদ খান। বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সচিব শরিফা খান, প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন মাসুম, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্ল্যানিং এডিটর আসজাদুল কিবরিয়া ও র‌্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর এম আবু ইউসুফ প্রমুখ। মশিউর রহমান বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে সামনে এগিয়ে যেতে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। ডব্লিউটিও সম্মেলনে ত্রিমাত্রিক দিকে নজর দিতে হবে- এটা সত্যি। তবে বাংলাদেশ যে অবস্থানে পৌঁছেছে সেখান থেকে পেছনে হটার সুযোগ নেই। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে জায়গা করে নিতে হবে। এর জন্য সময় নিলে পিছিয়ে পড়তে হবে।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডব্লিউটিওর সম্মেলনে বাংলাদেশকে তিনটি স্বার্থ নিয়ে কাজ করতে হবে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এলডিসির সুবিধা পাওয়া, এরপর আরও তিন বছর এলডিসি থেকে উত্তরণ পর্যায়ে সুবিধা পাওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার ক্ষেত্রে এখনই প্রস্তুতি নেওয়া। মূল প্রবন্ধে মোস্তাফা আবিদ খান বলেন, ফিশারিজ সাবসিডির ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। ইলিশ বেশির ভাগ নদীতে উৎপাদন হচ্ছে এটা দেখানো উচিত। এতে সমুদ্রে মৎস্য খাতের ভর্তুকি কমানোর চাপ থাকবে না। মৎস্য খাতে .৮ শতাংশ ভতুর্কি আছে। ইলিশ যুক্ত হলে ১ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। আবদুর রাজ্জাক বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর কৃষি ও মৎস্য খাতে ভর্তুকি নিয়ে চাপ থাকবে। বিশেষ করে সমুদ্রে মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে। তবে কৃষি ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্যের ১০ শতাংশ দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২ শতাংশের কম দিচ্ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সচিব শরিফা খান বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ পর্যায়ে তিন বছর বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও যুক্তরাজ্য। তবে ২০২৯ সাল থেকে আর এই সুবিধা থাকবে না।

আগামী ২৬ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ত্রয়োদশ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ খবর