শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
খুলনা

শৃঙ্খলা ফেরাতে চ্যালেঞ্জে কেসিসি

ফুটপাত দখলমুক্ত করা যায়নি অবৈধ ইজিবাইক বন্ধ হয়নি যানজটে বাড়ছে ভোগান্তি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনা নগরীতে চলাচলের জন্য প্রায় আট হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দিয়েছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু শহরে ১৫ থেকে ২০ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। সড়কে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অতিরিক্ত ইজিবাইক থাকায় যানজট কমানো যাচ্ছে না। একইভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ব্যস্ততম সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্থাপনা বসানো হয়েছে। এতে ফুটপাত দিয়ে চলাচলেও ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে।

এদিকে সড়কে ভোগান্তির অবসানে অবৈধ ইজিবাইক, মোটরচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ ও ফুটপাতের দখল উচ্ছেদে নেমে রীতিমতো চ্যালেঞ্জেই পড়েছে সিটি করপোরেশন। জীবনের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পায়েচালিত রিকশার বদলে ব্যাটারি রিকশা চলাচলের অনুমতির দাবি জানাচ্ছে রিকশাচালকরা। সে সঙ্গে অভিযানে সকালে একটি সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করলেও বিকালেই আবার পুনর্দখল হয়ে যাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ছেন উচ্ছেদের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও। সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর মজিদ সরণি, কেডিএ এভিনিউ, খানজাহান আলী রোড, ক্লে রোডসহ বিভিন্ন স্থানে ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী দোকানপাট গড়ে উঠেছে। প্রতিবন্ধকতায় ফুটপাত দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে না পেরে সড়কের মাঝ দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছেন পথচারীরা। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, যানজটের ভোগান্তির  পেছনে অবৈধ ইজিবাইক বড় কারণ। সড়কে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা, এমএ বারী রোড, বাইপাস মোড়, গল্লামারী, মজিদ সরণি, পাওয়ার হাউস মোড়, কেডি ঘোষ রোড, ডাকবাংলা, পিকচার প্যালেস, শান্তিধাম মোড়, খানজাহান আলী রোডের সিটি কলেজ  থেকে গ্লাক্সো মোড় পর্যন্ত, ময়লাপোতা, সাতরাস্তা মোড় এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী।

জানা যায় খুলনা নগরীতে প্রায় ১৭ হাজার পায়েচালিত রিকশার লাইসেন্স দিয়েছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু এর মধ্যে ১৫ হাজার রিকশার লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি দুই বছর।  যাদের অধিকাংশ ব্যাটারি ও মোটর সংযুক্ত করে রিকশার বিপজ্জনক গতি বাড়িয়েছেন চালকরা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে এসব রিকশা বন্ধে অভিযান শুরু করেছে করপোরেশন। 

সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের ক্ষেত্রে যা যা করণীয় করব, এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এখানে মোটরচালিত রিকশা কখনই ছিল না। এ কারণে তা বন্ধ করেছি। সুন্দর সুন্দর ফুটপাত করেছি। মানুষ সেই ফুটপাত দিয়ে হাঁটবে। কিন্তু বাণিজ্যিক এলাকায় নিজেদের দোকান ছেড়ে ফুটপাতে স্থাপনা করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনে পুলিশের সফঙ্গ যৌথ জরিপ করে শহরে আরও কত ইজিবাইক প্রয়োজন দেখা হবে। প্রয়োজনে আরও ৫ হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া হবে। কিন্তু অবৈধ যানবাহন শহরে চলবে না।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর