শিরোনাম
শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কমছে আলু রপ্তানি

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

কমছে আলু রপ্তানি

দেশে আলুর চাহিদা ও দাম বাড়ায় বিদেশে কমছে আলু রপ্তানি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। দেশের বাজারে চাহিদা মতো দাম পেয়ে রপ্তানি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা আদায় করতে সক্রিয় একটি চক্র। ফলে রপ্তানির চেয়ে দেশের বাজার ঘিরে চলছে অধিক মুনাফা আদায়ের কৌশল। যার কারণে গত ছয় মাসে বিদেশে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩৪৪ মেট্রিক টন। চলতি অর্থবছরে অন্য বছরগুলোর তুলনায় সর্বনিম্ন আলু রপ্তানি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আলুর মৌসুম শেষ হলে তা কেটে উঠবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামের উপপরিচালক ড. মুহাম্মদ শাহ আলম বলেন, আলুর মৌসুম শুরু হচ্ছে মাত্র, যার কারণে রপ্তানি এখনো কম। দেশের বাজারে যদি ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা ভালো দাম পান তাহলে রপ্তানি করবে না। মালয়েশিয়ায় যেসব বাংলাদেশি বসবাস করেন, তাদের কাছে আলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আলুর মৌসুমে আরও বেশি রপ্তানি হবে। কারণ মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশে আলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তথ্যানুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আলু রপ্তানি হয়েছে ২৯ হাজার ১৫৩ টন ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩৪৪ দশমিক ৪৭৬ টন আলু। বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানি হয়ে থাকে কয়েকটি দেশে। এর মধ্যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, আরব আমিরাত, মালদ্বীপ, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ভিয়েতনাম ও ব্রুনাই অন্যতম।

এসব দেশে আলু রপ্তানি করে আয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে আলু রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩৪৪ দশমিক ৪৭৬ মেট্রিক টন। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে এসব দেশে আলু রপ্তানি করা হয়েছে ৫১ হাজার ৪৪৫ মেট্রিক টন। সর্বোচ্চ আলু রপ্তানি হয়েছে মালয়েশিয়াতে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর