তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমেই যে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হয়েছে, এমনটি ভেবে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নবীন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এই বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কীভাবে সম্ভব হলো, তার সঠিক ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। তা না হলে যারা যুদ্ধাপরাধীদের দোসর, তারা ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথভ্রষ্ট করবে। তাই যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। গতকাল জাতীয় জাদুঘরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘৭১-এর গণহত্যার বিচার : সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। প্রয়াত অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইন্টারন্যাশনালের থিয়েটার ইনস্টিটিউটের সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শহীদসন্তান নাট্যজন আসিফ মুনীর।