শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে ব্যবসায়ীকে হত্যা, ভাতিজা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার আশুলিয়ায় ব্যবসায়ী ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার কাজিমুদ্দিনকে (৫০) গলা কেটে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় আবদুল লতিফ খানকে (৩২) বৃহস্পতিবার আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র?্যাব বলছে, লতিফ কাজিমুদ্দিনের বড় ভাইয়ের ছেলে। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে তাদের মাঝেমধ্যে কথা কাটাকাটি হতো। ৬ ফেব্রুয়ারিও কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লতিফ চাচাকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র?্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান র?্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় লিপি ডেইরি ফার্মের বিশ্রামরুম থেকে ফার্মটির স্বত্বাধিকারী কাজিমুদ্দিনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় কিছু ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডটি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা বলে ধারণা করেন। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে খবর প্রকাশিত হয়। ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডে ভুক্তভোগীর স্ত্রী আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে কাজিমুদ্দিন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তার ডেইরি ফার্ম দেখতে আসেন। ডেইরি ফার্মটি তার বাসার পাশেই হওয়ায় একপর্যায়ে স্ত্রী ও সন্তানকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। তিনি ডেইরি ফার্মের বিশ্রাম রুমে রাতে থাকার জন্য অবস্থান করেন। সে রাতেই লতিফ ডেইরি ফার্মে এসে তার পৈতৃক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে কথা বললে কাজিমুদ্দিনের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে লতিফ রুমে থাকা বঁটি নিয়ে কাজিমুদ্দিনের গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করেন। কেউ যাতে বুঝতে না পারে সেজন্য কাজিমুদ্দিনের মোবাইল ফোন নিয়ে রুমের দরজায় তালা দিয়ে বঁটিটি পাশের রুমে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর