রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আইনি খরচের জন্য চোর সিন্ডিকেটের সঞ্চয়!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ওরা ভয়ংকর চোর সিন্ডিকেটের সদস্য। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি করাই ওদের ‘পেশা’। চুরির পর অর্জিত অর্থ ও মালামাল বিক্রির অর্থের বড় একটি অংশ নিজেদের মধ্যে করে ভাগবাঁটোয়ারা। আর কিছু অংশ সঞ্চয় করে ভবিষ্যতের আইনি খরচের জন্য। অভিন্ন কায়দায় কয়েক মাসে ২২টির অধিক চুরির ঘটনা ঘটিয়ে আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের ঘুম হারাম করে দেয় চক্রটি। অবশেষে শুক্রবার রাতে এ সিন্ডিকেটের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সদরঘাট থানা পুলিশ। তারা হলেন আরিফ হোসেন মেহেদী, মো. শরীফ, মেহেদী হাসান রুবেল, সাইদুল ইসলাম রিগ্যান, হান্নান হোসেন ও রিয়াদ হোসেন। অভিযানে তাদের কাছ থেকে দেশি তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং ধারালো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। নগরীর সদরঘাট থানাধীন মাদারবাড়ী ওয়্যার মার্কেট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সদরঘাট থানার এসআই অর্ণব বড়ুয়া বলেন, সদরঘাট থানার একটি চুরি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এ চোর সিন্ডিকেটের সন্ধান মেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা গত কয়েক মাসে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ২২টির মতো চুরি সংঘটিত করে। যার মধ্যে চকবাজারের আমিরাবাগ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে দেড় শ ভরি স্বর্ণালংকারও রয়েছে। অর্ণব বলেন, চোরের এ সিন্ডিকেটের একেকজন একেক কাজে পারদর্শী। তাদের একজন সারা দিন রেকি করে চুরির জন্য টার্গেট নির্ধারণ করে।

আরেকজন তালা ভাঙতে পারদর্শী। তিনি ঘর ও আলমিরার তালা মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে ভাঙতে পারেন। আরেকজন পানির পাইপ বেয়ে চার থেকে ছয় তলা পর্যন্ত উঠতে পারেন। চুরির পর বড় একটি অংশ নিজেরা ভাগ করে নেন। আর কিছু অংশ কারাগারে থাকা সহযোগীদের মুক্তি ও পরিবার-পরিজনের জন্য পাঠান। সঞ্চয় করেন ভবিষ্যতের আইনি খরচের জন্য। চোর চক্রের বড় এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব রয়েছেন মনির। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।

সর্বশেষ খবর