রংপুর বিভাগ হয়েছে ১৪ বছর। এই দীর্ঘ সময়েও রংপুর মেডিকেল কলেজে মৃতদেহের ভিসেরা পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে বিচার পেতে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হচ্ছে। ভিসেরা রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে মামলার তদন্ত কার্যক্রম। অজ্ঞাত লাশের রক্তের নমুনা সংগ্রহে পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। রংপুর মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগেও ঢাকার মহাখালীতে যেতে হতো ভিসেরা পরীক্ষার জন্য। তবে বেশ কিছুদিন থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজে আসা হত্যা, রহস্যজনক ও সন্দেহজনক মৃত ব্যক্তিদের ভিসেরা রাজশাহীর ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। সেখানের রিপোর্ট পেতে দীর্ঘ সময় লাগছে। ফলে মামলার তদন্ত কাজ বিঘিœত হওয়ার পাশাপাশি বিচার শুরুর প্রক্রিয়াও দীর্ঘ হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে প্রতিটি বিভাগীয় শহরের ফরেনসিক ল্যাবে ভিসেরা পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হলেও রংপুরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা বলছেন, ভিসেরার বিষয়টি সিআইডি পুলিশ মনিটরিং করেন। তারাই ফরেনসিক ল্যাবে ভিসেরা নিয়ে পরীক্ষা করে আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন। কিন্তু রংপুরের পুলিশ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না বলে জানিয়েছে ফরেনসিক বিভাগ। সূত্রমতে গত দুই মাসে রাজশাহী ফরেনসিক ল্যাবে ৬০-৭০টির মতো ভিসেরা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে সামান্য। বাকি রিপোর্ট কবে আসবে তা নির্ভর করছে রাজশাহী ফরেনসিক বিভাগের ওপর। মৃতদেহের ওইসব ভিসেরা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মামলার গতি আসবে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভিসেরার জন্য হত্যাসহ বিভিন্ন কারণে মৃতদেহের লিভার, দুটি কিডনির অর্ধেক ইত্যাদি পাঠানো হয়।